রোমাঞ্চকর টেস্ট অভিষেকের অপেক্ষায় দিন কাটছে মিঠুনের
উত্থান পতনের গল্পটা মোহাম্মদ মিঠুনের চেয়ে ভালো বোধ হয় আর কেউ বলতে পারবেন না। ২০১৪ সালে দেশের হয়ে ওয়ানডে অভিষেক হলো। ২টি ওয়ানডে খেলেই বাদ পড়লেন। সেই যে পড়লেন তো পড়লেনই। সাড়ে তিন বছর আর সুযোগ হয়নি। অবশেষে জায়গা মিলল চলতি বছরে। এখন তো ওয়ানডে দলের বলতে গেলে অপরিহার্য সদস্য।
এ তো গেল ওয়ানডের গল্প। সীমিত ওভারে আস্থার প্রতীক হয়ে এখন টেস্টের দরজায়ও কড়া নাড়ছেন মিঠুন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের দলে জায়গা পেয়েছেন। সিলেটে ৩ নভেম্বর সিরিজের প্রথম টেস্টের একাদশেও খেলা অনেকটা নিশ্চিত।
টেস্ট খেলবেন-ওতদূর ভাবা তো দূরের কথা। দলে ডাক পাওয়াটাই ছিল মিঠুনের কাছে বড় চমক। তবে স্বপ্নটা মনের মধ্যে তো ছিলই। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘আমারও স্বপ্ন ছিল টেস্ট খেলব। যদিও এখনই টেস্ট দলে ডাক পাব, এটা ভাবিনি। হঠাৎ করেই এসেছে। পত্রিকায় যখন এল, তখনও জানতাম না। পত্রিকা খুব একটা দেখা হয় না। একজন সাংবাদিকই আমাকে ফোন করে খবরটা দেন।’
টেস্ট ক্রিকেটকে বলা হয় একজন ক্রিকেটারের পরীক্ষার আসল জায়গা। মিঠুনও মনে করছেন, টেস্ট খেলতে না পারলে ক্রিকেটার হিসেবে পূর্ণতা পাওয়া যায় না। তার ভাষায়, ‘আমার সবসময় মনে হয়, একজন ক্রিকেটার হিসেবে যখন টেস্ট খেলব, তখনই আমার পরিপূর্ণতা আসবে। আর টেস্ট ক্রিকেটে যখন ভালো করব, তখন মনে করব ক্রিকেট খেলাটার জন্য আমি ফিট। অবশ্যই চেষ্টা করব সুযোগ পেলে কাজে লাগানোর।’
সাদা পোশাকে আন্তর্জাতিক আঙিনায় নতুন। কিন্তু প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট কিন্তু ১২ বছর ধরে খেলছেন মিঠুন। ওই অভিজ্ঞতাটাই কাজে লাগাতে চান সুযোগ পেলে। ২৭ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘টেস্টে অভিজ্ঞতা অনেক বড় ব্যাপার। টেস্ট খেলতে হলে অনেক অভিজ্ঞতা দরকার হয়। আমি অনেক বছর ধরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলছি। অবশ্যই এটা কাজে দেবে। অন্যান্য দেশে দেখি অনেক অভিজ্ঞ হওয়ার পর টেস্টে আসে। আমারও সেই সুযোগ আসছে। আমি চেষ্টা করব এর যতটা ব্যবহার করা যায়।’
এমএমআর/পিআর