‘অনেক হয়েছে, এবার ওয়ার্নার-স্মিথকে খেলতে দাও’

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১০ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০১৮

গত মার্চে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিং বিতর্কে জড়িয়ে শাস্তি ভোগ করছেন অস্ট্রেলিয়ার তিন ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথ ও ক্যামেরন ব্যানক্রফট। এক বছর করে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল তখনকার অধিনায়ক স্মিথ ও সহ-অধিনায়ক ওয়ার্নারকে। ব্যানক্রফট পেয়েছিলেন ৯ মাসের নিষেধাজ্ঞা।

এখনো তাদের নিষেধাজ্ঞার বাকি বেশ কয়েকমাস। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) অনুমতি নিয়ে বেশ কয়েকটি ঘরোয়া লিগে খেলেছেন এ তিন ক্রিকেটার। কিন্তু দেশের শীর্ঘ ঘরোয়া লিগ এবং জাতীয় লিগে খেলার কোনো অনুমতি এখনো দেয়া হয়নি তাদের।

বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখছে না অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের সংগঠন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (এসিএ)। তারা মনে করছে দোষী তিন ক্রিকেটার এরই মধ্যে যথেষ্ঠ শাস্তি ভোগ করেছে এবং অনুতপ্ত; তাই তাদেরকে খেলার অনুমতি দেয়া উচিৎ।

এসিএ’র সভাপতি গ্রেগ ডায়ার বলেন, ‘ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আমার বার্তা একটাই, শাস্তিপ্রাপ্ত তিন ক্রিকেটারই অনুতপ্ত। তারা যথেষ্ঠ শাস্তি ভোগ করেছে। এখন অনুতাপী এই তিন ক্রিকেটারকে খেলার সুযোগ দিন। আমি এটাও জানাতে চাই যে এটি বাস্তবায়নের জন্য এসিএ কঠোর হতেও পিছপা হবে না।’

এসময় ডায়ার জানান স্মিথ-ওয়ার্নারদের কৃতকর্মের দায় নিতে হবে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডকেও। তিনি বলেন, ‘আমাদের পর্যবেক্ষণের পর আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পেরেছি যে দক্ষিণ আফ্রিকায় যা হয়েছে সেটার দায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকেও নিতে হবে। হ্যাঁ মানছি যে ওই মুহূর্তের অপরাধটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যক্তিগত। তবে এটাও সত্যি যে তাদের ঘটনায় বোর্ডের তরফ থেকেও অনেক কিছু করতে হতো।’

তিনি স্মিথ-ওয়ার্নারদের খেলতে দেয়ার দাবীটা আরও জোরালো করে বলেন, ‘বর্তমান অবস্থায় সাধারণ বিনয়, ন্যায্য অধিকার, আনুপাতিকতা ও ন্যায় বিচারের কথা মাথায় রেখে তাদের শাস্তিটা কমে যাওয়া উচিৎ। তারা ইতোমধ্যে অনেক সময় হারিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলার সুযোগ হারিয়েছে, জনগণের হেনস্থার শিকার হয়েছে এবং অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।’

এসএএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।