জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে অস্ট্রেলিয়াকে
আবুধাবি টেস্টের ফল কি হতে যাচ্ছে, সেটা নিশ্চিতভাবেই বুঝি এবার বলে দেয়া সম্ভব। টেস্টের যে বাকি এখনও দুইদিন! এই দুইদিনে অস্ট্রেলিয়াকে আরও করতে হবে ৪৯১ রান। রীতিমত যা অসম্ভব একটি ব্যাপার। প্রথম টেস্টেও একেবারে হারের মুখ থেকে অস্ট্রেলিয়া টেস্ট ড্র করে ফেলেছিল উসমান খাজার অসাধারণ ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে। কিন্তু এবার সেটা সম্ভব হবে কি না সন্দেহ।
কারণ, জিততে হলে যে অস্ট্রেলিয়াকে রীতিমত বিশ্ব রেকর্ডই গড়তে হবে! টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪১৮ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড রয়েছে। সেখানে অস্ট্রেলিয়ার সামনে জয়ের জন্য পাকিস্তান লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে ৫৩৮ রানের।
এই বিশাল রান তাড়া করতে নেমে তৃতীয় দিন শেষ বিকেলে ১০ রানের মাথায় একটি উইকেটও হারিয়েছে টিম পাইনের দল। ৪ রান করে মির হামজার বলে আউট হয়েছেন শন মার্শ। তৃতীয় দিন শেষে অস্ট্রেরিয়ার রান ১ উইকেট হারিয়ে ৪৭। ২৪ রান নিয়ে ব্যাট করছেন অ্যারোন ফিঞ্চ। ১৭ রান নিয়ে রয়েছেন ট্রাভিস হেড।
চতুর্থ ইনিংসে ১৯২ ওভার ব্যাট করার দারুণ সুযোগ অস্ট্রেলিয়ার সামনে। এই ১৯২ ওভার নয়, ১৫০ ওভার ব্যাট করতে পারলেও বিশ্ব রেকর্ড গড়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছা সম্ভব। চতুর্থ ইনিংসে একবারই ১৯২ ওভারের বেশি ব্যাট করার রেকর্ড রয়েছে। তাও টেস্ট ক্রিকেট শেষ হওয়ার টাইম-টেবিল যখন ছিল না, তখন।
১৯৩৯ সালে ডারবানে স্বাগদিক দক্ষিণ আফ্রিকা আর ইংল্যান্ডের মধ্যে ৩ মার্চ থেকে শুরু করে ১৪ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল এক টেস্ট। সেবার দ্বিতীয় ইনিংসে (ম্যাচের চতুর্থ ইনিংস) ইংল্যান্ড ২১৮.২ ওভার ব্যাট করে এবং সংগ্রহ করে ৬৫৪ রান। এরপর দু’দল নিজেদের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে ম্যাচ ড্র মেনে নেয়।
তেমন পরিস্থিতি এবার হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, ফল হোক আর না হোক, ম্যাচ শেষ হবে ৫ দিনেই। সেই ৫মদিন শেষ হতেও বাকি ২দিন। অস্ট্রেলিয়ার হাতে আছে আর ৯ উইকেট এবং দুইদিনে ১৮০ ওভার।
এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান ৯ উইকেট হারিয়ে ৪০০ রান করার পর অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায়। অর্থ্যাৎ, ৪০০ রানে ইনিংস ঘোষণা করে তারা। যার ফলে অস্ট্রেলিয়ার সামনে মোট ৫৩৮ রানের লক্ষ্য দাঁড়িয়ে যায়।
প্রথম ইনিংসের মত দ্বিতীয় ইনিংসেও দুর্ভার্গের শিকার দুই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান। দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরির একেবারে কাছাকাছি গিয়ে আউট হন অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। প্রথম ইনিংসে ৯৪ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি করেন ৮১ রান। তবে তার চেয়েও দুর্ভাগা বাবর আজম। ৯৯ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। মাত্র ১ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ৯৪ রানে আউট হয়েছিলেন ফাখর জামান। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি করেন ৬৬ রান।
দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার বোলার নাথান লায়ন ১৩৫ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। ২ উইকেট নেন মারনাস লাবুচানে। ১ উইকেট নেন মিচেল মার্শ।
আইএইচএস/জেআইএম