‘সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে আমার কোনো তুলনা চলে না’
বাঁহাতের কনিষ্ঠার ইনজুরির কারণে চলতি বছরে আর দলের সাথে যোগ দেয়ার সম্ভাবনা নেই বাংলাদেশ দলের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজে তার অভাব পূরণে প্রথমবারের মতো দলে ডাকা হয়েছে ফজলে রাব্বি মাহমুদকে। যিনিও কিনা ব্যাট করে থাকেন টপঅর্ডারে, বোলিং করে থাকেন সাকিবের মতোই বাঁ-হাতি স্পিন।
তবু সাকিবের বদলি হিসেবে ফজলে রাব্বিকে নেয়া হলেও, নতুন খেলোয়াড়ের ওপর ছেড়ে দেয়া যাবে না পুরো দায়িত্ব। সাকিবের অভাব পূরণে এগিয়ে আসতে হবে দলের নিয়মিত খেলোয়াড়দের কাউকেই। সে ক্ষেত্রে আলোচনায় সবার আগে চলে আসে তরুণ অফস্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজের নাম।
জাতীয় দলে তার বয়স মাত্র ‘তিন দিন কম দুই বছর’ হলেও, কথাবার্তা, আচার-আচরণ ও মাঠে তার আত্মনিবেদনে বোঝার উপায় নেই তিনি যে এখনো ‘জুনিয়র’ ক্রিকেটারের কাতারে পড়েন। সবসময় পঞ্চপান্ডবের আশেপাশে থাকা মিরাজ এরই মধ্যে নিজেকে পরিণত করেছেন অন্যতম ভরসার পাত্রে।
তাই আনুষ্ঠানিকভাবে সাকিবের বদলি হিসেবে ফজলে রাব্বির কথা বলা হলেও, অন্তত বোলার হিসেবে সাকিবের জায়গায় দলের প্রধান স্পিনারের ভূমিকা পালন করতে হবে ২০ বছর বয়সী মিরাজকেই। তরুণ বয়সেই সাকিব আল হাসানের মতো একজন ক্রিকেটারের অভাব পূরণ করা কোনো চাপের সৃষ্টি করবে না বলে মনে মিরাজ নিজে।
বুধবার অনুশীলনের ফাঁকে মিরপুর শেরে বাংলায় সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন মিরাজ। সেখানে তিনি বলেন, ‘আসলে এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক, সাকিব ভাই আমাদের সাথে নেই। তিনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে দলে ফিরবেন। আর এটা চাপ না। এটা আমার কাছে বাড়তি দায়িত্বের মত। যেহেতু সাকিব ভাই নেই, দায়িত্ব থাকবে বোলিংটা আরেকটু বেশি ভাল করার। পাশাপাশি যারা স্পিনার আছেন, তাদেরকে উৎসাহ দিব আরও ভাল করার।’
দলে এখনো পর্যন্ত বোলার হিসেবে খেললেও মিরাজের প্রধান রোল মূলতঃ ব্যাটিং অলরাউন্ডার। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে টপঅর্ডারে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি করতেন অফস্পিনিং বোলিং। কিন্তু সিনিয়র পর্যায়ে এসে দলের প্রয়োজনেই তাকে খেলতে হয় নিচে নেমে।
তবে এখনো পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ইনিংসেই মিরাজ দেখিয়েছেন তার ব্যাটিং সামর্থ্য। জানান দিয়েছেন যে প্রয়োজনের মুহূর্তে তার ব্যাটও দলকে সাহায্য করতে পারবে। সে কারণেই সাকিবের অবর্তমানে মিরাজকে ধরে নিতে হবে দলের সেরা অলরাউন্ডার।
মিরাজ নিজে অবশ্য এমনটা ভাবতে নারাজ। অগ্রজ অলরাউন্ডারের সাথে নিজের তুলনা চলে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সাকিব ভাই বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার। উনি না থাকায় আমিই সেরা অলরাউন্ডার এমন কোন অনুভূতি আসে না। সাকিব ভাই যখন খেলে, তখন চেষ্টা করি অলরাউন্ডার হিসেবে দলের জন্য ছোট ছোট অবদান রাখার। তিনি অনেক উঁচু মানের ক্রিকেটার। তিনি বাংলাদেশকে অনেক দিন সার্ভিস দিয়ে আসছে। তিনি দীর্ঘদিন র্যাঙ্কিংয়ে নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার ছিলেন। তার সাথে আসলে আমার তুলনা চলে না (হাসি)।’
এসএএস/আইএইচএস/আরআইপি