#মি টু’র জেরে আইসিসি বৈঠকে যেতে মানা বিসিসিআই প্রধানকে
হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে মি টু। দারুণ এক সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে এটা। অনেক নামি-দামি ব্যক্তির থলের বিড়াল বের হতে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় #মি টু আন্দোলনে। যার কারণে ফেঁসে গেছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এখনকার সবচেয়ে বড় কর্মকর্তা, প্রধান নির্বাহী রাহুল জোহরি।
তার বিরুদ্ধেও উঠে গেছে যৌন হেনস্তার অভিযোগ। যার জের ধরে আইসিসির বৈঠকে যেতে নিষেধ করে দেয়া হয়েছে জোহরিকে। তার পরিবর্তে আইসিসির বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন বিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি অমিতাভ চৌধরি।
বিসিসিআইয়ের প্রধান নির্বাহীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠার পরপরই তার কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স (সিওএ) প্রধান বিনোদা রাই। জবাব দেয়ার জন্য ১৪ দিনের সময় চেয়েছেন রাহুল জোহরি। বিনোদ রাই জানিয়েছেন, ‘জবাব দেওয়ার জন্য রাহুল ১৪ দিন সময় চেয়েছে। এই সময়ে আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করতে চায় সে। তাই ১৬ থেকে ১৯ অক্টোবর সিঙ্গাপুরে আইসিসির বৈঠকে যাচ্ছে না সে।’
২০১৬ সাল থেকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রধান নির্বাহীর পদ সামলাচ্ছেন জোহরি। শুক্রবার তার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী। শনিবার মিডিয়ায় এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর জোহরিকে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে বলে সিওএ।
এক বিবৃতিতে সিওএ জানায়, ‘আজ কিছু মিডিয়ার রিপোর্ট এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় বিসিসিআই সিইও রাহুল জোহরির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। টুইটার হ্যান্ডলে নাম গোপন করে এই অভিযোগ করেছেন এক নারী। যদিও ঘটনাটি ঘটেছিল জোহরির আগের মিডিয়া কোম্পানিতে কাজ করার সময়।’
ঘটনাটি বোর্ডের পদে থাকাকালীন না-হলেও বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বোর্ডের কমিটি। সিওএ-র তরফে জানানো হয়, ‘যদিও অভিযোগ, ঘটনাটি যখন ঘটেছিল তখন জোহরি বোর্ডের কোনও পদে ছিল না। তবুও সিওএ অভিযোগ সত্যতা জানতে চাই।’ এক সপ্তাহের মধ্যে সঙ্গত ব্যাখ্যা না-পেলে ব্যবস্থা নেবে বোর্ড৷ এমটাই সিওএ-র তরফে জানানো হয়।
আইএইচএস/পিআর