মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরলেন ম্যাথু হেইডেন

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:০৫ পিএম, ০৮ অক্টোবর ২০১৮

উত্তাল সমুদ্রে মর্মান্তিক সার্ফিং দুর্ঘটনার কবলে পড়ে জীবন হারাতে বসেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার ম্যাথু হেইডেন। উপস্থিত বন্ধুদের সহায়তা এবং নেহায়েত ভাগ্যের কারণেই জীবন রক্ষা পেয়েছেন বলে মনে করেন বাঁহাতি এ সাবেক ওপেনার।

ঘটনা গত শুক্রবারের। কুইন্সল্যান্ডের স্ট্যাডব্রোক আইল্যান্ডে নিজের ছেলের সাথে সার্ফিং করছিলেন হেইডেন। হঠাৎ করেই প্রকাণ্ড এক ঢেউয়ের কবলে পড়ে যান ৪৬ বছর বয়সী এ সাবেক ক্রিকেটার। ঘটনায় তার ছেলের কিছু না হলেও মেরুদণ্ডের হাড়, পায়ের লিগামেন্ট ও মাথায় বেশ আঘাত পেয়েছেন হেইডেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে এ দুর্ঘটনার কথা নিজেই জানিয়েছেন হেইডেন। হাসপাতালের বেডে শোয়া একটি ছবি আপলোড দিয়ে তিনি লিখেন, ‘আমি শুধু স্ট্যাডব্রোকে আমার সাথে থাকা বন্ধুদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। বিশেষ করে বেন সুই ক্যালি আমাকে অতিদ্রুত চিকিৎসার আওতায় না আনলে অন্য কিছুও হতে পারতো। সত্যি করে বললে সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরলাম। সুস্থ হওয়ার পথে এখন।’

hayden2

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১৯৯৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়ে ২৭৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন হেইডেন। একসময় টেস্ট ক্রিকেটের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিলো তার দখলে। সবমিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় ১৫০০০ হাজার রান করেছেন এ মারকুটে ওপেনার।

নিজের দুর্ঘটনার ব্যাপারে বলতে গিয়ে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায় এক ঘণ্টা সার্ফিং করে ফেলেছিলাম ততক্ষণে। প্রত্যেকেই ছয়টি করে ঢেউয়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ফেলেছি। হঠাৎ আমার ডানপাশ থেকে একটি ঢেউ এলো। আমি এটিকে পাশ কাটাতে না পেরে ঢেউয়ের নিচে তলিয়ে গেলাম। এতোটুকুই শুধু আমার মনে আছে।’

তিনি আরও জানান, ‘আমি কিন্তু ঢেউয়ের কাছে পরাজিত হইনি। ঢেউয়ের কারণে আমি তখন সৈকতে এসে আছড়ে পড়ি। বুঝতে পারছিলাম যে এতে আমার মাথা বা ঘাড়ের অংশ ভেঙে গেছে। আমি মূলত আমার মাথার উপরে পুরো শরীরের ওজনটা নিয়ে আছড়ে পরেছিলাম। ঘাড় ভেঙে যাওয়ার শব্দ বুঝতে পারছিলাম। আমি তখনই শেষ হয়ে যায়নি। বরং পিঠে ভর দিয়ে হামাগুড়ি দিচ্ছিলাম।’

এসএএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।