বাবার হাত ধরেই এত দূর এলেন পুজারা

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০২ পিএম, ০৩ অক্টোবর ২০১৮

২০১০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাম লেখানোর পর থেকেই টেস্ট ক্রিকেটে ভারতীয় ক্রিকেট দলের নিয়মিত মুখ চেতেশ্বর পুজারা। ৮ বছরে এখনও পর্যন্ত ৬২টি টেস্ট ম্যাচ খেলে প্রায় ৫০ গড়ে ৪৮০৯ রান সংগ্রহ করেছেন ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান। ঘণ্টার পর ঘণ্টা উইকেটে পড়ে থাকা অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে ৩০ বছর বয়সী পুজারার।

এর পেছনে রয়েছে পুজারার বাবা অরভিন্দ পুজারার প্রত্যক্ষ অবদান। সিনিয়র পুজারা নিজে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে না পারলেও ছেলেকে দিয়ে পূরণ করেছেন নিজের স্বপ্ন। জুনিয়র পুজারা অর্থাৎ চেতেশ্বর পুজারা ছোট থাকতেই তাকে ক্রিকেটের দিকে নিয়ে আসেন সিনিয়র পুজারা। বাকি সবকিছু বাদ দিয়ে জুনিয়র পুজারার ধ্যানজ্ঞানে রূপ দেন ক্রিকেটকে।

সম্প্রতি নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে বাবার অবদান সম্পর্কে বলতে গিয়ে চেতেশ্বর পুজারা বলেন, ‘আমার বলাই উচিৎ যে বাবা খুবই কঠোর ছিলেন। বিশেষ করে ক্রিকেট শুরুর প্রথম দিনগুলোতে আমাকে কোথাও যাওয়ার অনুমতি দেয়া হতো না। আমি কখনো ঘুড়ি ওড়ানো বা আতশবাজির উৎসবে যাওয়ার সুযোগ পেতাম না। কারণ বাবা ভাবতেন যদি আমি এসব করে ব্যথা পাই তাহলে পরের দিন আমি অনুশীলনে যেতে পারব না।’

তবে এসব নিষেধাজ্ঞা যে তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে শক্ত করেছে তা স্বীকার করে নেন পুজারা। তার ভাষ্যে, ‘আমার শুরুর দিনগুলোতে অনেক বিধি-নিষেধ দেয়া ছিল আমাকে। তবে আমি মানতে বাধ্য এসবের কারণে আমি খেলায় নিজের মনোযোগ আরও শক্ত করতে পেরেছি। এখন দেখেন তিনি আমাকে অনেক কিছুরই অনুমতি। আসলে তিনি জানেন একজন ক্রিকেটারের কখন পরিশ্রম করতে হবে এবং কখন বিশ্রাম নিতে হবে।’

মাত্র ১৭ বছর বয়সে মা’কে হারান জুনিয়র পুজারা। এরপর থেকে বাবাকেই পান মায়ের রূপে। শুধু ক্রিকেটেই নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও বাবার অবদানের কথা বলেন তিনি।

‘শুধু মাত্র একজন ক্রিকেট কোচ হিসেবেই নয়, তিনি আমাকে একজন বাবার রূপেও অনেক সাহায্য করেছেন। মাত্র ১৭ বছর বয়সে আমি আমার মাকে হারাই। তখন একজন কিশোরের পক্ষে মানসিকভাবে শক্ত থাকাটা সহজ ছিলো না। তবে তিনি একাগ্র ছিলেন এবং আমরা খেলা নিয়ে কাজ করতে থাকি। আমার জীবন ও ক্রিকেট ক্যারিয়ারে তার অবদান বলে শেষ করা সম্ভব না।’

এসএএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।