ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে আফিফের সাত উইকেট
গত বছর প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক হয় ১৯ বছর বয়সী তরুণ অফস্পিনিং অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন ধ্রুবর। চলতি ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) শুরুর আগপর্যন্ত ৯টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে আফিফ নিতে পেরেছিলেন মাত্র ৭টি উইকেট।
সেই আফিফই এবার এক ইনিংসেই নিলেন ৭টি উইকেট। রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে নিজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন এ অলরাউন্ডার। তার এ বোলিংয়ের কারণেই সম্ভাব্য দ্বিশতক থেকে বঞ্চিত হয়েছেন রাজশাহীর উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জহুরুল ইসলাম।
নিজের প্রথম ইনিংসে তুষার ইমরানের সেঞ্চুরির পরেও মাত্র ২১০ রানে গুটিয়েছিল খুলনার ইনিংস। তিন নম্বরে নেমে আফিফ আউট হন গোল্ডেন ডাক সঙ্গে নিয়ে। সে গ্লানিই যেন তিনি ভুললেন রাজশাহীর সাত ব্যাটসম্যানকে আউট করে।
রাজশাহীর ইনিংসের শুরুতে শতরানের জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মিজানুর রহমান। সপ্তম বোলার হিসেবে আক্রমণে এসে এ জুটি ভাঙেন আফিফ। তুলে নেন রাজশাহীর পরের উইকেটটিও। তবু জহুরুল ও মিজানুরের সেঞ্চুরিতে খুলনাকে বিশাল লিডের নিচে চাপা দিতে থাকে রাজশাহী।
৩৭৪ রানের মাথায় ফরহাদ রেজাকে সাজঘরে ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট নেন আফিফ। তবু সপ্তম উইকেটে সানজামুল ইসলামকে নিয়ে ১৪৮ রানের জুটি বেঁধে ফেলেন জহুরুল। এ জুটিও ভাঙেন আফিফ। ৬৪ রানে ফিরিয়ে দেন সানজামুলকে।
ঘরের মাঠে দলটির শেষের তিন উইকেটও নেন আফিফই। একপ্রান্তে অপরাজিতই থেকে যান জহুরুল। সবমিলিয়ে ২১ ওভার বোলিং করে ৬৬ রান খরচায় ৭টি উইকেট নেন আফিফ। ক্যারিয়ারের ১৪তম প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরি করা জহুরুল অপরাজিত থাকেন ১৬৩ রান করে।
৪৪২ রানের বিশাল লিডের বোঝা মাথায় নিয়ে শুরুটা ভালো করতে পারেনি খুলনা। রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন ওপেনার রবিউল ইসলাম রবি, ব্যাট হাতে আবারও ব্যর্থ হন আফিফ। মাত্র ২৪ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে খুলনা। তবে এনামুল হক বিজয়ের ফিফটি ও ম্যাচে তুষার ইমরানের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিয়েছে খুলনা।
তৃতীয় দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৮২ রান। শেষ দিনে ৮ উইকেট হাতে রেখে ২৬০ রান পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নামবে খুলনা। এনামুল বিজয় ৭২ ও তুষার ইমরান অপরাজিত ঠিক ১০০ রান করে।
এসএএস/এমএস