সিলেটে দ্বিতীয় দিনে ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল আশরাফুল
গত আগস্টে দূর হয়েছে সব ধরেছেন নিষেধাজ্ঞা, লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন পুনরায় জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানোর। সে লক্ষ্য ছুঁতে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে ঘরোয়া ক্রিকেটে। সে মিশনে নিজের কাজ শুরু করে দিয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের নতুন মৌসুমের প্রথম ম্যাচে নিজের প্রধান দায়িত্ব ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও আলো ছড়াচ্ছেন আশরাফুল। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ফিফটি হাঁকানোর পরে বল হাতেও ২ উইকেট নিয়েছেন আশরাফুল।
ঘরের মাঠে আশরাফুলের ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে সিলেট। প্রথম দিনে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে মেট্রোর ইনিংসের গতিপথ সাজিয়ে দিয়েছিলেন সাদমান ইসলাম। কিন্তু দ্বিতীয় দিনে মিডলঅর্ডাররা ব্যর্থ হলে খুব বেশি করতে পারেনি তারা। তবে ঢাকা মেট্রোর ৪২৬ রান করার পেছনে বড় অবদান রয়েছে আশরাফুলের ৫৩ রানের ইনিংসের।
আশরাফুল ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন ছয় নাম্বারে। ১০৮ বল মোকাবেলায় ৬ বাউন্ডারিতে ৫৩ রান করে শাহানুর রহমানের শিকার হন তিনি। এছাড়া মার্শাল আইয়ুব ৫০ আর মেহরাব হোসেন করেন ৩৮ রান।
ঢাকা মেট্রোর পুঁজিটা যে প্রত্যাশামত বড় হয়নি, তার আসল কারণ এনামুল হক জুনিয়রের ঘূর্ণি-জাদু। ১৬৪ রান খরচায় ঢাকা মেট্রোর ৬ উইকেট তুলে নেন সিলেট বিভাগের এই স্পিনার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তার ৩৩তম পাঁচ উইকেট শিকার।
নিজেদের ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল সিলেট। কিন্তু চতুর্থ বোলার হিসেবে আক্রমণে এসে সিলেটের দুই ওপেনার সায়েম আলম রিজভী ও শানহাজ রহমানের উইকেট তুলে নিয়ে স্বাগতিক শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন আশরাফুল।
পরে আরাফাত সানির স্পিন ঘুর্নিতে নাকাল হয় সিলেট। দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৩২ রান। ১৯ ওভারে ৪৮ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন সানি। ১৭ ওভার বোলিং করে ৩৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন আশরাফুল।
এসএএস/পিআর