ছেলেরা অনেক চেষ্টা করেছে, এর বেশি চাওয়ার নেই : রোডস

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০১ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

এশিয়া কাপে বাংলাদেশের আক্ষেপটা রয়েই গেল। ফাইনালে এসেও না পাওয়ার বেদনা। তবে শুক্রবার ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে যে লড়াইটা করেছে টাইগাররা, তাতে শিষ্যদের নিয়ে গর্বিত কোচ স্টিভ রোডস। টাইগার কোচ মনে করছেন, যেমন খেলেছেন মাশরাফি-মুশফিকরা, এরপর আর তাদের কাছে চাওয়ার কিছু নেই।

ভারতের সামনে লক্ষ্যটা ছিল মাত্র ২২৩ রানের। এমন শক্তিশালি ব্যাটিং লাইনআপের জন্য যেটা মোটেই কঠিন কিছু নয়। কিন্তু টাইগাররা হাল ছাড়লো না। এই লক্ষ্যকেও ভারতের জন পাহাড়সমান বানিয়ে ইনিংসের শেষ বলে এসে তারা হেরেছে।

ভারতের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতেই ১২০ রান তুলে ফেলেছিল বাংলাদেশ। একটা সময় মনে হচ্ছিল তিনশো হয়ে যাবে অনায়াসেই। সেখান থেকে মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ইনিংস।

মাঝের এই ব্যর্থতাটা মেনে নিচ্ছেন কোচ। তবে সবমিলিয়ে ভারতের মতো দলের বিপক্ষে যে লড়াইটা করেছে দল, তাতে শিষ্যদের উপর কোনো দায় চাপাতে রাজি নন রোডস, ‘আমরা দারুণ শুরু করেছিলাম। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা ভালো করতে পারলে ফল অন্যরকম হতে পারতো। বল হাতে আমাদের পারফরম্যান্স তো ছিল অসাধারণ। ছেলেদের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু চাওয়ার নেই।’

বারবার ফাইনালে এসে স্বপ্নভঙ্গ। বাংলাদেশের কি মানসিক বাধাটা থেকেই যাচ্ছে? রোডস তেমনটা মনে করছেন না। বরং ভারতের বিপক্ষে লড়াইটাকেই বড় করে দেখছেন তিনি, ‘না, কখনও এমনটা ভাবা উচিত নয়। আমি নিশ্চিত, পুরো দেশবাসী এই পারফরম্যান্সকে উন্নতি হিসেবে দেখবে। আমরা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছি। বড় দলের বিপক্ষে এটা সহজ নয়। আমাদের চেয়ে তো তারা র‌্যাঙ্কিংয়ে বেশ এগিয়ে।’

তামিম ইকবাল ছিলেন না, সুপার ফোরের শেষ ম্যাচের আগে ছিটকে পড়েন সাকিব আল হাসানও। দলের এই দুই সেরা তারকা ছাড়া বাংলাদেশ যেভাবে লড়েছে, তাতেই তুষ্ট বাংলাদেশ কোচ, ‘সাকিব-তামিমকে ছাড়া সত্যিই দুর্দান্ত লড়াই করেছে বাংলাদেশ। মুশফিক পুরো টুর্নামেন্টে ভালো করেছে, চাপের মধ্যেও রান করেছে। ছেলেরা অনেক চেষ্টা করেছে, কিন্তু ক্রিকেটে প্রতিদিন সবকিছু ঠিকঠাক যায় না।’

এমএমআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।