মাশরাফিরা মাঠে সাকিব হাসপাতালে তামিম লন্ডনে

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৩:১২ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

তাদের এখন কোথায় থাকার কথা আর তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান এখন আছেন কোথায়? সব কিছু ঠিক থাকলে এতক্ষণে টিম হোটেল থেকে টিম বাসে করে দলের সাথে দুবাই স্টেডিয়ামের ড্রেসিং রুমে না হয় মাঠে ওয়ার্মআপে থাকতেন তামিম ও সাকিব।

কিন্তু হায়! ইনজুরির ভয়াল থাবায় দুজনই ছিটকে পড়েছেন মাঠের বাইরে। শুধু এশিয়া কাপের বাইরে ছিটকে পড়াই নয়। তামিম কব্জির চিকিৎসা করাতে উড়ে গেছেন যুক্তরাজ্যে। আজ অধিনায়ক মাশরাফি যখন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার সাথে টস করতে নামবেন তখন তামিম সাউথহ্যাম্পটনের এক ক্লিনিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে সাক্ষাতে নিজের আঘাত পাওয়া কব্জি দেখাবেন।

আর সাকিবের অবস্থা যে আরও করুণ। সঙ্গী-সাথীরা যখন ভারতকে হারানোর কঠিন পণ নিয়ে মাঠে দেশ ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার তখন দেশের রাজধানী ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে বিছানায় শোয়া। নির্ভরযোগ্য সূত্রের খবর, পরশু বুধবার রাতে দুবাই থেকে ফেরার পরদিন মানে কাল বৃহস্পতিবার আঙ্গুলের ব্যাথায় অস্থির সাকিব যান অ্যাপোলো হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে।

ডাক্তার তাকে দেখেতো ‘থ’! একি অবস্থা আপনার? এমন অবস্থা নিয়ে খেললেন কি করে? আঙ্গুল যে ফুলে ঢোল হয়ে গেছে। পানি আর পুঁজ গেছে জমে। আগে এই জমে থাকা পানি ও পুঁজ সড়াতে হবে, তারপর অন্য কথা। এরপর উন্নত চিকিৎসা।

এখন দ্রুত পানি ও পুঁজ বের করতে হবে। এজন্য একটা ছোট খাট সার্জারিও লাগবে। যে কথা সেই কাজ। কাল রাতেই সাকিবের ইনজুরি আক্রান্ত আঙ্গুলের পুজ ও পানি বের করতে ছোট খাট সার্জারি করা হয়েছে। আজ (শুক্রবার) বেলা তিনটা নাগাদ এ প্রতিবেদন তৈরীর সময় পর্যন্ত সাকিব অ্যাপোলো হাসপাতালে। সেখান থেকে হয়ত দু-একদিনের মধ্যে বাসা ফিরে যাবেন। তারপর তার আঙ্গুলের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবার প্রসঙ্গ।

কোথায় হবে অপারেশন? প্রথমে শোনা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। আজ একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানালো অস্ট্রেলিয়াতেও হতে পারে সাকিবের আঙ্গুলের উন্নত চিকিৎসা। তার আগে এখন ক্রমাগত চাপ পড়তে পড়তে যে পানি ও পুঁজ জমে গেছে তা সরাতে যে সার্জারি হলো, তা আগে ঠিক হোক। তারপরও বিদেশে চিকিৎসা প্রসঙ্গ।

এআরবি/এসএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।