ফাইনাল খেলতে হারাতে হবে পাকিস্তানকেও
২০১৬ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের সবশেষ আসরে ফাইনাল খেলেছিল ভারত ও বাংলাদেশ। বছর দুয়েক পরে এশিয়া কাপের চলতি আসরে এরই মধ্যে ফাইনালে নিজেদের নাম নিশ্চিত করে ফেলেছে ভারত। বছর দুয়েক আগের ফাইনালের পুনঃমঞ্চায়ন করতে এখন দরকার বাংলাদেশ দলের ফাইনাল নিশ্চিত করা।
রোববার রাতে রোমাঞ্চকর জয়ে ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ। সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে হেরেই ফিকে হতে বসেছিল ফাইনাল খেলার স্বপ্ন। তবে আফগানিস্তানকে হারিয়ে আবারও সম্ভাবনা জোরদার করেছে বাংলাদেশ। তবে এখনই স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয়ার সুযোগ নেই।
কেননা ফাইনাল খেলতে হলে যে হারাতে হবে পাকিস্তানকেও। সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়েই ফাইনালের পথে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু পরের ম্যাচেই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের সমান্তরালে চলে এসেছে পাকিস্তান।
আগামী বুধবার বিকেলে আবুধাবির শেখ আবু জায়েদ স্টেডিয়ামে মাঠে গড়াবে সুপার ফোর পর্বের শেষ ম্যাচটি। এই ম্যাচের জয়ী দলই পাবে ফাইনালের টিকিট। ভারতীয় মিডিয়া থেকে শুরু করে বিশ্বের বড়-বড় সংবাদ মাধ্যমগুলো ফলাও করে প্রচার করেছিল এবারের এশিয়া কাপে তিনবার মুখোমুখি হবে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান।
বুধবারের ‘অঘোষিত’ সেমিফাইনাল ম্যাচে বাংলাদেশ দলই পারে তাদের এই স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ভারত-বাংলাদেশ ফাইনাল মঞ্চায়ন করতে। সেজন্য করতে হবে না কিছুই। শুধু পাকিস্তানকে হারাতে হবে যেকোন ব্যবধানে।
গুরুত্বপূর্ণ সে ম্যাচের একদম সমান্তরালে অবস্থান করছে দুই দেশ। টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে দুই দলই পেয়েছে একটি করে জয়। সুপার ফোর পর্বে দুই দলই জিতেছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে, দুই দলই পরাজিত হয়েছে আফগানিস্তানের। তাই এবার নিজেদের মুখোমুখি লড়াইয়েই নির্ধারিত হবে শুক্রবারের ফাইনালে ভারতের সঙ্গী হবে কারা।
পাকিস্তানের বিপক্ষে নামার আগে সাম্প্রতিক ইতিহাস কথা বলবে বাংলাদেশের পক্ষেই। ওয়ানডে ক্রিকেটে দুই দলের সবশেষ দেখা হয়েছিল ২০১৫ সালে বাংলাদেশের মাটিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে। যেখানে পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করেছিল মাশরাফির দল। এমনকি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও দুই সবশেষ তিন দেখায় দুই ম্যাচেই জিতেছে বাংলাদেশ।
এসএএস/জেআইএম