সৌম্য-ইমরুলের অন্তর্ভুক্তি পরিষ্কার নয় মাশরাফির কাছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:২১ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ওপেনিংয়ের সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ দলে নতুন করে ডাকা হয়েছে সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েসকে। তড়িঘড়ি করে শনিবার সন্ধ্যায় আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন তারা। হয়তো সুযোগ পেয়ে যাবেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে রোববারের ম্যাচেও।

কিন্তু এমন হুট করে দেশ থেকে দুই ক্রিকেটারকে উড়িয়ে নেয়ার ব্যাপারটা মোটেও শোভনীয় কিছু নয়। বিশেষ করে লিটন দাশ, নাজমুল হোসেন শান্তসহ ব্যাকআপ হিসেবে মুমিনুল হক থাকার পরেও তড়িঘড়ির দরকার পড়লো কেন তা নিয়েও উঠতে পারে প্রশ্ন।

তবে টাইগার অধিনায়ক মাশরাফির প্রশ্ন অন্য জায়গায়। প্রথম ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালীন এই ঘোষণা হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে জানার উপায় ছিল না মাশরাফির। জেনেছেন ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে। অকপটেই জানিয়েছেন ইমরুল-সৌম্যের অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে কিছুই জানেন না তিনি।

মাশরাফি বলেন, ‘আমি মাঠে ছিলাম। কাদের নেয়া হয়েছে তা জানিনা এখনো। স্কোয়াডে দুইজন খেলোয়াড় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টিও পরিষ্কার নয় আমার কাছে। শুনেছিলাম এ রকম কথা, তবে জানতাম না যে হয়ে গিয়েছে।’

মাশরাফির কৌতূহল এখানেই শেষ নয়। অন্য সাধারণ দর্শকদের মতোই তারও প্রশ্ন কোন কারণে বা কিসের ভিত্তিতে হুট করেই সুযোগ পেয়ে গেলেন স্কোয়াডে জায়গা না পাওয়া দুই ক্রিকেটার। সৌম্য-ইমরুল দুজনই নিজেদের শেষ ওয়ানডে খেলেছেন গত বছরের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। এরপর যে বাদ পড়েছেন দল থেকে, সুযোগ পাননি গত ১১ মাসে।

এই ১১ মাসের মধ্যে ঘরোয়া ক্রিকেটে তেমন কিছু করে দেখাননি দুজনের কেউই। ‘এ’ দলের হয়ে আয়ারল্যান্ড সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বেশ কিছু রান করেছিলেন সৌম্য, নিজের ছায়া হয়েছিলেন ওয়ানডে সিরিজে। আর ঘরোয়াতে ইমরুলের সাম্প্রতিক ‘ভালো’ পারফরম্যান্স খুঁজে বের করা যেনো রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং।

তবু ওপেনারদের তিন ম্যাচের ব্যর্থতায় দলে সুযোগ পেয়ে গেলেন তারা। যেনো একইসাথে বার্তাও পেলেন যে নিজেদের ভালো করার দরকার নেই, অন্যরা খারাপ করলেই সুযোগ পেয়ে যাবো আমরা। সৌম্য-ইমরুলের অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারটি তাই পরিষ্কার নয় মাশরাফির কাছেও।

তিনি বলেন, ‘এখন যারা আসছে, তারাও কিন্তু খারাপ খেলেই দল থেকে বাদ পড়েছিল। তারা কেনো আসছে, কিভাবে সুযোগ পেল তা আমি এখনও জানিনা। কোনো আলোচনাও হয়নি। তবে ওরাও কিন্তু পারফর্ম না করেই দল থেকে বাদ পড়েছিল। হুট করে এই কন্ডিশনে এই ধরনের টুর্নামেন্টে এসে আবার সেই চাপ নিয়ে কতটা পারবে তাও কিন্তু ভাবনার বিষয়! বিশেষ করে আফগানিস্তানের ম্যাচ যদি চিন্তা করেন, আমার মনে হয় তাঁদের (সৌম্য ও ইমরুল) আরও কঠিন বোলার মোকাবিলা করতে হবে।’

তবে নতুন দুই ক্রিকেটারের জন্য খানিক আশার কথাও শোনান অধিনায়ক। দিনশেষে দলের ক্রিকেটাররা ভালো করলে যে দলেরই লাভ। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তো সবকিছুই কঠিন। প্রতিকূলতার ভেতরেই রান করতে হবে। সবাইকে চেষ্টা করতে হবে। ব্যাটিং-বোলিং, সবই ভালো করতে হবে।’

এসএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।