কিংবদন্তি কুকের চোখে সর্বকালের সেরা অ্যান্ডারসন!
ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে অ্যালিস্টার কুক যা উপহার দিয়ে গেছেন, তা আদৌ অন্য কোনো ইংলিশ ক্রিকেটার দিতে পারবেন কি না সন্দেহ। দীর্ঘ একযুগের ক্যারিয়ারে একমাত্র ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে পার করেছেন ১০ হাজার রানের গণ্ডি। ১২ হাজার রানের মাইলফলক পার হওয়ার পর টেস্ট ইতিহাসে ব্যাটসম্যানদের মধ্যে পঞ্চম স্থানে থেকেই অবসরে গেলেন কুক।
ক্যারিয়ারে প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি দিয়ে শুরু। শেষও করলেন সেঞ্চুরি দিয়ে। নিজের নামের পাশে লিখেছেন ৩৩টি সেঞ্চুরি। নেতৃত্বও দিয়েছেন যে কোনো ইংলিশ অধিনায়কের চেয়ে বেশি। সেই অ্যালিস্টার কুকই কি না বিদায় বেলা সার্টিফিকেট দিলেন, ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার হলেন জেমস অ্যান্ডারসন।
কুক কেন তার চেয়ে অ্যান্ডারসনকে সেরা বললেন? তারও অবশ্যই কারণ আছে। অ্যান্ডারসন যে কীর্তি গড়লেন, তা এখনও পর্যন্ত গড়তে পারেনি বিশ্বের আর কোনো ফাস্ট বোলার। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এতদিন একটা গর্বের জায়গা নিয়ে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার গ্লিন ম্যাকগ্রা। পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী ছিলেন তিনি।
৫৬৩ উইকেট নিয়ে শীর্ষে ছিলেন ম্যাকগ্রা। ভারতের বিপক্ষে ওভাল টেস্টে অসি কিংবদন্তীকে ছাড়িয়ে গেলেন অ্যান্ডারসন। মোহাম্মদ শামিকে বোল্ড করেই শীর্ষে ওঠেন তিনি। এখন পেসারদের মধ্যে টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী এখন এই ইংলিশ বোলার। তার নামের পাশে লেখা হয়েছে ৫৬৪ উইকেট। তার সামনে এখনও আছেন তিনজন। অনিল কুম্বলে, শেন ওয়ার্ন এবং মুত্তিয়া মুরালিধরন। তিনজনই স্পিনার।
৬১৯ উইকেট নিয়ে রয়েছেন কুম্বলে। ৭০৮ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে শেন ওয়ার্ন এবং ৮০০ উইকেট নিয়ে সবার শীর্ষে রয়েছেন মুরালিধরন। এবার এন্ডারসন কতদুর যেতে পারেন সেটাই দেখার বিষয়। যদিও তার বয়স হয়ে গেছে ৩৬ বছর।
বিদায়ী টেস্টের পর অ্যালিস্টার কুক এন্ডারসন সম্পর্কে বলেন, ‘সত্যিকারার্থেই অবিশ্বাস্য একজন অ্যাথলেট তিনি। অবিশ্বাস্য বোলার। ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত যত ক্রিকেটার এসেছে তাদের মধ্যে সেরা হচ্ছেন অ্যান্ডারসন।’
ল্যাঙ্কাশায়ারে খেলা অ্যান্ডারসনের ২০০৩ সালে অভিষেক ঘটে। খেলেছেন ১৪৩ টেস্ট। এখনও পর্যন্ত মোট ৩১ হাজার ৫০০ বল ডেলিভারি দিয়েছেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে যে কোনো পেসারের চেয়ে বেশি বল ডেলিভারি দিলেন তিনি।
কুক বলেন, ‘আমি কোনোভাবেই তাকে বিশ্লেষণ করতে পারবো। শারীরিক এবং মানসিকভাবে তিনি যা করেছেন এটাই তো অনেক বেশি। তিনি বেশ খামখেয়ালিপূর্ণ ক্রিকেটার। তার বোলিংয়ের সময় স্লিপে দাঁড়িয়ে ফিল্ডিং করাটা ছিল আমার জন্য অনেক আনন্দের।’
আইএইচএস/জেআইএম