স্লগ ওভার নিয়ে টাইগারদের বিশেষ অনুশীলন

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৫৬ পিএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

এশিয়া কাপের প্রস্তুতি ক্যাম্পে একের পর এক নতুনত্ব আনা শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোচিং স্টাফ। ক্যাম্পের শুরুর দিনেই ফিল্ডারদের নিয়ে করা হয় এক হাতে ক্যাচ, বাউন্ডারিতে জাগলিং ক্যাচের অনুশীলন। সোমবার ব্যাটিং ক্যাচ নেইল ম্যাকেঞ্জি এসে করান ব্যাটসম্যানদের বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি করে ব্যাটিং অনুশীলন।

তাহলে মঙ্গলবার দলের সাথে যোগ দেয়া বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশই বা কেন পিছিয়ে থাকবেন? তিনিও যোগ দিলেন নতুনত্ব আনার মিছিলে। বোলারদের নিয়ে প্রথম দিনেই নেমে পড়লেন 'স্লগ ওভার' এর দুর্বলতা কাটাতে বিশেষ অনুশীলনে। তবে বিশেষ অনুশীলনে ছিল না তেমন বিশেষ কিছু।

এক ওভারে নির্দিষ্ট সংখ্যক রান বেঁধে দিয়ে নির্দিষ্ট বোলারকে বলা হয়েছে সেই রান ডিফেন্ড করতে। আর ব্যাটসম্যানদের চ্যালেঞ্জ দেয়া হয় বোলারদের বিপক্ষে সেই রান করতে। ফলে বোলার-ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তৈরি হয় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক পরিস্থিতি। যা কিনা মূল ম্যাচেও কাজে লাগবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনি।

ম্যাচের স্লগ ওভারের পরিস্থিতি কল্পনা করে বোলিং বা ব্যাটিং করায় এটি আত্মবিশ্বাসে বাড়তি রসদ জোগাবে বলেই বিশ্বাস রনির। মঙ্গলবার অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদ মাধ্যমের সাথে আলাপে তিনি বলেন, 'এটা কিন্তু ভাল একটা অনুশীলন। এই পরিস্থিতিগুলো ম্যাচে সব সময়ই আসে। দেখা যাচ্ছে এক ওভারে ছয় রান, সাত রান লাগে বা নয় রান লাগে তখন আপনার সেই রান ডিফেন্ড করতে হয়। ব্যাটসম্যানদেরও চ্যালেঞ্জ থাকে এক ওভারে ৯/১০ রান নিবে তারা। এই অনুশীলনের ফলে আত্মবিশ্বাসের মাত্রা বেড়ে যাবে আর হচ্ছে মাথায় ঢুকে যাবে যে এই সিচুয়েশন কিভাবে হ্যান্ডেল করতে হবে।'

প্রস্তুতি ক্যাম্পের স্কিল ট্রেনিং সোমবার শুরু হলেও বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ দলের সাথে যোগ দিয়েছেন একদিন পরে অর্থ্যাৎ মঙ্গলবার। ওয়ালশের সাথে অনুশীলনের প্রথম দিনেই বোলিংয়ে কব্জির ব্যবহার নিয়ে বাড়তি কাজ করেছেন পেসাররা।

রনি বলেন, 'মাস্টার (ওয়ালশ) ত আজই আসল। উনার সঙ্গে এখনো কথা হয়নি আমাদের। সবাই কথা বলছে কিভাবে কব্জির ব্যবহার করা যায়। শরীফুল, খালেদ যাদের হাইট ভাল আছে ওদেরকে বলছে কিভাবে কব্জির ব্যবহার করা যায়। এতে হয়ত বাউন্সটা বেশি পাওয়া যায়। এটা একটা এডভান্টেজ তো এটা নিয়ে হয়ত কাজ হবে সামনে।'

দলের কথা আলোচনার মাঝেই চলে আসে রনির ব্যক্তিগত লক্ষ্য বা পরিকল্পনার কথা। এ ব্যাপারে তিনি সোজা জানিয়ে দেন এখনো নিজের ব্যক্তিগত লক্ষ্য নিয়ে তিনি ভাবছেন না। কেননা ম্যাচ খেলার সুযোগ তিনি পাবেন কিনা তা কেবল টিম ম্যানেজম্যান্টই বলতে পারবে। তবে সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রনি।

'আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য বলতে যদি বলি, ম্যাচ খেলব কিনা সেটা এখনো শিওর না। এটা টিম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার। এখন অনুশীলন চলছে, অনুশীলনে নিজেকে ভালোভাবে প্রস্তুত করা এখন আমার লক্ষ্য। আর যদি সুযোগ পাই তাহলে কিভাবে নিজের সেরাটা দিতে পারি।'

একাদশে ডাক পেলেই সুযোগ মিলবে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দেয়ার। সেক্ষেত্রে নিজের আত্মবিশ্বাস কতটুকু? এ প্রশ্নের জবাবে রনি বলেন, 'আমার আত্মবিশ্বাস খুব ভাল আছে। খুব ভালো বোলিং হচ্ছে এখনো পর্যন্ত। শেষ দুটি সিরিজও খুব ভাল বোলিং হয়েছে। আমি চেষ্টা করব ওই ধারাটাই যেন রাখতে পারি। অনুশীলনেও খুব পরিশ্রম করছি। যদি সুযোগ পাই সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।'

এসময় বোলিংয়ে বৈচিত্র আনার ব্যাপারে রনি বলেন, 'বল হাতে বৈচিত্র নিয়েও কাজ হচ্ছে। আগে যেমন অফ কাটার মারতাম, এখন ব্যাক অফ দ্য হ্যান্ড, নাকল বলটাও চেষ্টা করছি। ইয়র্করগুলা নিখুঁত করছি। পারফেকশন আনার চেষ্টা করছি। হয়ত একদিনে হবে না। দিনকে দিন অনুশীলন করতে করতে আসবে।'

এসএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।