‘এখন জুনিয়রদের দায়িত্ব নেয়ার সময় এসেছে’

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪৭ পিএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের আলোচনার অন্যতম প্রধান বিষয় দলে সিনিয়র-জুনিয়রদের অবদানের পার্থক্য। দলের সাফল্যের বেশিরভাগই আসছে সিনিয়রদের হাত ধরে। প্রয়োজনের সময় তেমনভাবে জ্বলে উঠতে পারছেন না জুনিয়ররা।

বাংলাদেশের ক্রিকেট মহলে এসব আলোচনা এখন নিত্যদিনের ঘটনা। ক্রিকেটারদের মাঝেও শোনা যায় তরুণ খেলোয়াড়দের নিষ্প্রভ থাকার কারণে নানান টেনশনের কথা। দলের প্রায় সবারই চাওয়া সিনিয়র খেলোয়াড়দের মতো করে তরুণরাও জ্বলে উঠবে সমানভাবে।

সিনিয়র খেলোয়াড়রা নিজেদের সেরাটা দিলেও প্রায়শই তরুণ খেলোয়াড়দের ব্যর্থতার কারণে হাতছাড়া হয় অনেক জয়। সেসব ম্যাচে জুনিয়র ক্রিকেটাররা নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিলেই আসতে পারত জয়। দলের জুনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে অন্যতম আবু হায়দার রনিও মনে করেন এমনটা। রনি ভাবছেন এখন সময় এসেছে জুনিয়রদের এগিয়ে আসার।

মঙ্গলবার এশিয়া কাপের প্রস্তুতি ক্যাম্পের দ্বিতীয় দিন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন রনি। জানান এশিয়া কাপে জুনিয়রদের ভালো করার সম্ভাবনার কথা। ব্যাট হাতে লিটন দাশ, মোহাম্মদ মিথুন, নাজমুল শান্তরা ভাল ফর্মে থাকায় এবার সিনিয়রদের সাথে জুনিয়ররাও ভালো পারফর্ম করতে পারবে বলে মনে করেন রনি।

বাঁহাতি এই পেসার বলেন, ‘আমাদের যারা সিনিয়র ব্যাটসম্যানরা আছেন মুশি ভাই, সাকিব ভাই, তামিম ভাই, রিয়াদ ভাই ভাল ফর্মে আছে। জুনিয়রদের মধ্যে আমাদের লিটন খুব ভাল টাচে আছে এখন। মিঠুন ভাই ভালো ফর্মে আছেন, শান্ত ভাল টাচে। এমন না যে সিনিয়রদের সঙ্গে আমরা জুনিয়ররা সাপোর্ট দিচ্ছি না, আমরাও দিচ্ছি।’

‘এটা যদি আরেকটু বেশি দিতে পারি তাহলে হয়ত আমাদের দলের জন্য ভাল হবে। সিনিয়রা নিয়মিত ভাল পারফর্ম করে যাচ্ছ, এখন আমাদের জুনিয়রদের দায়িত্ব নেওয়ার সময় এসেছে। এখন দেখা যাচ্ছে ১০ ম্যাচ খেললে ৫টা জিতছি। আমরাও সাপোর্ট দিলে হয়ত দেখা যাবে ৭/৮টা জিতব।’

এসময় এশিয়া কাপে ব্যক্তিগত ও দলের ব্যাপারে নিজের আশার কথাও জানান রনি। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে নিজের সেরাটা দেয়ার আশাব্যক্ত করেন তিনি। আর দলের ব্যাপারে প্রাথমিক ভাবে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার লক্ষ্যের কথা শোনা যায় তার কণ্ঠে।

রনি বলেন, ‘আসলে আমার নিজের আশা তো থাকবে সব ম্যাচ খেলতে পারি, ভাল করতে পারি। যে ক’টা ম্যাচই সুযোগ পাই যাতে আমার নিজের সেরাটা দিতে পারি। আর দলীয় লক্ষ্য যদি বলি তাহলে যেহেতু গ্রুপ আছে, প্রাথমিকভাবে গ্রুপের ম্যাচ দুটোয় ভাল করে সেকেন্ড রাউন্ডে উঠতে চাই।’

এশিয়া কাপের আসর ভারত থেকে সরে ঠাই নিয়েছে দুবাইতে। সেখানে খেলতে হবে উত্তপ্ত গরমের মাঝে। তবে সেই গরম বাংলাদেশ দলের জন্য খুব বেশি সমস্যা করতে পারবে না বলে মনে করেন রনি। এছাড়া দুবাইয়ের উইকেট ও কন্ডিশন বাংলাদেশের মতোই হওয়ায় এসব নিয়ে খুব একটা ভাবছেন না এশিয়া কাপের স্কোয়াডে ডাক পাওয়া সবচেয়ে কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এ বাঁহাতি পেসার।

তিনি বলে, ‘দুবাইয়ে গরম থাকবে। গরমটা হয়ত তেমন প্রভাব ফেলবে না কারণ আমরা গরমে খেলে অভ্যস্ত। কন্ডিশনও আমাদের দেশের মতই। উইকেটে স্পিনাররা হয়ত সহায়তা পাবে, পেস বোলাররাও ওখানে ভাল বল করে। কারণ আমরা যখন খেলেছি সবুজ ঘাস ছিল, আবুধাবিতে যে উইকেটে খেলেছি। যেমন আমরা পিএসএলে দেখি হয়ত কাছাকাছিই থাকবে। আমার মনে হয় ভাল স্পোর্টিং উইকেট থাকবে।’

এসময় দুবাইয়ের কন্ডিশনের ব্যপারে আগে থেকেই ব্যাকফুটে না গিয়ে ইতিবাচক থাকার কথা বলেন রনি, ‘আমি সেখানের কন্ডিশনের অসুবিধার কথা বলব না, সুবিধার কথাই বলব। যেরকম কন্ডিশনই থাক আমাদের সেরাটা দিতে হবে। যেহেতু এশিয়াতে খেলা। আশা করি ভালই করব।’

এসএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।