ক্রিকেটের নিয়মকানুন এবার আফ্রিকান ভাষায়

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:১১ পিএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ক্রিকেটের নিয়মকানুন প্রকাশ করা হলো আফ্রিকান ভাষায়। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রচলিত ১১টি ভাষার একটি ও জিম্বাবুয়েতে প্রচলিত ১৬টি ভাষার মধ্যে অন্যতম ‘ইসিখোসা’য় ছাপানো হলো ক্রিকেটের পূর্ণাঙ্গ নিয়মকানুন। নিউল্যান্ডসে একটি বুকলেট আকারে প্রথমবারের মতো ‘ইসিখোসা’ ভাষায় ছাপানো ক্রিকেটের নিয়মনীতির প্রদর্শনী করা হয়।

ক্রিকেটের যাবতীয় নিয়মকানুন আফ্রিকান ভাষায় অনুবাদ করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের ওয়েস্টার্ন কেপের সংস্কৃতি ও খেলাধুলা বিষয়ক বিভাগের প্রফেসর ও ক্রিকেট ইতিহাসবিদ আন্দ্রে ওদেনদাল। সকলের সহজবোধ্য ও খুঁটিনাটি বিষয়গুলো ঠিক রাখতে পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে করা হয়েছে এই কাজ।

এমনকি আফ্রিকান ভাষায় ক্রিকেটের নিয়মকানুন লিখতে গিয়ে বেশ কিছু নতুন শব্দেরও সাহায্য নিতে হয়েছে ওদেনদালের দলকে। শেষ করার আগে প্রখ্যাত ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার পিটার বাসেলার পরামর্শ নেয়া হয়। বাসেলা এর আগেও জানিয়েছিলেন যে ‘ইসিখোসা’ ভাষায় ক্রিকেটীয় শব্দগুলোর রূপ দেয়া হবে বেশ কঠিন একটি কাজ।

তবে আফ্রিকান ভাষাগুলোর মধ্যে কেবলমাত্র ইসিখোসাই টিভি অনুষ্ঠান ও রেডিও ধারাভাষ্যে ব্যবহৃত হয় বলে এই ভাষাকেই বেছে নেয়া হয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গ জনপদের মানুষদের মাতৃভাষাও এই ইসিখোসা। এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার মাখায়া এনটিনি ও ফুনেকো এনগামও এই ইসিখোসা ভাষাভাষীর মানুষ।

মূলত আফ্রিকান মানুষেরা যাতে নিজেদের ভাষায় ক্রিকেটীয় ব্যাপারগুলো ব্যাখ্যা করতে পারে ও বুঝতে পারে সেই চিন্তা থেকেই অনুবাদের কথা ভাবা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের ওয়েস্টার্ন কেপের সংস্কৃতি ও খেলাধুলা বিষয়ক বিভাগের প্রধান ব্রেন্ট ওয়াল্টার্স বলেন, ‘আমাদের এমন কিছু করার ইচ্ছে ছিল যাতে আমাদের মানুষেরা প্রাণ দিয়ে খেলাটা উপভোগ করতে পারে। এখানে আমাদের উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই যে এ কাজে এখানের মানুষেরাও জড়িত ছিলেন। আমরা আমাদের কাজের মধ্য দিয়ে তাদের জন্য বিশেষ কিছু করতে চেয়েছি। যাতে তারা মাতৃভাষাতেই খেলাটা উপভোগ করতে পারে।’

এসএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।