খুব শিগগির মোসাদ্দেককে তলব করবে বিসিবি
‘মোসাদ্দেকের ব্যাপার যেটা দেখেছি, উনার স্ত্রী মামলা করেছেন। যেহেতু ওটা আদালতে চলে গেছে। আদালতে নিষ্পত্তি হোক। আর আমরা আমাদের বিষয়গুলোকে আমাদের মতো করে দেখব। হয়ত খুব শিগগিরই বসব, সংশ্লিষ্ট প্লেয়ারদের ডাকা হবে। তাদের বক্তব্য শুনব।’- মন্তব্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনের।
‘আচ্ছা ভাই, সৈকৎ- মানে মোসাদ্দেক হোসেন আজ প্র্যাকটিসে এসেছেন? নাকি স্ত্রীর মামলায় মুখ লুকিয়েছেন? প্র্যাকটিস বাদ দিয়ে আইনি প্রক্রিয়া সামলাকে ব্যতিব্যস্ত?’- সকাল সকাল শেরে বাংলায় এক ব্যস্ত সাংবাদিকের কৌতূহলী প্রশ্ন।
শুধু ওই সহযোগী সাংবাদিকই নন, দেশের ক্রিকেট অনুরাগি, ভক্ত ও সমর্থক মহলের বড় অংশের মনে এ প্রশ্ন প্রায় সারাদিন ঘুরপাক খেয়েছে। অনেকেই মনে মনে ভেবেছেন, নিজের স্ত্রী যখন নির্যাতন মামলা দিয়েছেন তখন মোসাদ্দেক হয়ত মানসিক চাপে। তবে সে প্রশ্নের জবাব মিলেছে আগেই। জাগো নিউজের পাঠকরা আগেই জেনে গেছেন, ‘মানসিক অবস্থা যেমনই থাকুক না কেন, এশিয়া কাপের প্রাথমিত প্রস্তুতির প্রথম দিন নির্ধারিত সময়েই প্র্যাকটিসে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।’
এর বাইরে আরও একটি কৌতুহলি প্রশ্ন ঘুরপাক খেয়েছে সবার মনে। মোসাদ্দেকের বিপক্ষে যে তার স্ত্রী নারী নির্যাতন মামলা করেছেন, তাতে বিসিবির ভিতরকার প্রতিক্রিয়া কি? বোর্ড কর্মকর্তাদের অনুভুতি কি? তারা বিষয়টিকে কিভাবে নিয়েছেন?
মোসাদ্দেক ইস্যুতে কেউ কি কোন কোন কথা বলেছেন? সকাল ৯টায় শেরেবাংলা স্টেডিয়াম লাগোয়া ইনডোরে জাতীয় দলের প্র্যাকটিস শুরুর পর থেকে দুপুরে বিরতির সময় অবধি উপস্থিত সাংবাদিকদের মধ্যে গুঞ্জন, ফিসফাস। দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামার ঠিক আগে মিললো সে কৌতূহলী প্রশ্নর জবাব।
বিসিবি প্রধাননির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন মিডিয়ার সামনে মোসাদ্দেকের স্ত্রী সামিয়া শারমিনের করা নারী নির্যাতন মামলার বিষয়ে মুখ খুললেন। অল্প কটি কথা। চোক মুখ ও শরীরি অভিব্যক্তি বলে দিল, বিষয়টি তাদের জানা।
তবে প্রথমেই এ সংলাপেই পরিষ্কার করে দিলেন, মোসাদ্দেকের স্ত্রী সামিয়া শারমিন ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বোর্ডে এখনো কোন লিখিত কিংবা মৌখিক অভিযোগ আসেনি। তাই তো নিজামউদ্দীন চৌধুরীর কণ্ঠে এমন কথা, ‘হ্যাঁ, আমরা প্রচার মাধ্যমের কাছ থেকে জেনেছি, দেখেছি মোসাদ্দেকের স্ত্রী মামলা করেছেন।’
বলার অপেক্ষা রাখে না, নারী নির্যাতন ও শিশু আইনে মামলা। প্রায় একই ধরনের অভিযোগে গত তিন বছরের বেশি সময় অভিযুক্ত হয়েছেন বর্তমান প্রজন্মের বেশ ক’জন নামী ও সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার রুবেল, শহীদ, আরাফাত সানি, সাব্বির এবং নাসির হোসেন। এর মধ্যে নাসির ও সাব্বিরের বিপক্ষে নারী কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগ আছে। নাসিরের বিপক্ষে অভিযোগটা ওপেন সিক্রেট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা রীতিমতো ভাইরাল হয়ে রয়েছে। এবং সর্বশেষ মোসাদ্দেক। এখানেও সেই নারী নির্যাতন কেস।
খুব স্বাভাবিকভাবেই বোর্ডের অভ্যন্তরে একটা অন্যরকম প্রতিক্রিয়া হয়েছে। এবং প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজনের কথায় পরিষ্কার, বোর্ড বিষয়টাকে আমলে নিয়েছে। তাই মুখে এমন কথা, ‘যেহেতু বিষয়টা আদালতে চলে গেছে গেছে। আদালতে নিষ্পত্তি হোক। তবে আমরা আমাদের বিষয়গুলোকে আমাদের মত করে দেখব। হয়ত খুব শিগগিরই বিষয়টি নিয়ে নিজেরা বসব এবং সংশ্লিষ্ট প্লেয়ারদের ডাকা হবে। তাদের বক্তব্য শুনব।’
এআরবি/আইএইচএস/পিআর