ব্রাদার্সের কাছে পাওনার দাবিতে সোচ্চার অলক কাপালি

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:৩৭ এএম, ২০ আগস্ট ২০১৮

আবার ক্লাবের বিপক্ষে ক্রিকেটারদের পাওনা পরিশোধ না করার অভিযোগ। এবার লিগ শেষ হবার দু'মাস পর প্রথম এ অভিযোগ উঠেছিল প্রিমিয়ার লিগ থেকে প্রথম বিভাগে রেলিগেটেড হয়ে যাওয়া কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে। কলাবাগানের বিপক্ষে অভিযোগ ছিল পারিশ্রমিক না দেবার।

এবার অভিযোগ উঠলো প্রিমিয়ারে টিকে যাওয়া ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে। ব্রাদার্সের সিনিয়র ক্রিকেটার অলক কাপালি রোববার বিসিবিতে এসে ব্রাদার্স কর্তাদের নির্ধারিত সময়ে ক্রিকেটারদের পাওনা শোধ না করার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনেন। অলকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ব্রাদার্সের কাছে তাদের শেষ কিস্তি মানে মূল পারিশ্রমিকের ২৫ % এখনো পাওনা।

রোববার দুপুরে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের লাউঞ্জের সামনে দাড়িয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপে জাতীয় দলের সাবেক অলরাউন্ডার অলক কাপালি বলেন, 'সাধারণত লীগ শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে আমাদের স্যালারি দিয়ে দেওয়া হয়। আমরা সেভাবেই যোগাযোগ করেছি ব্রাদার্স ইউনিয়নের সাথে, শেষে বলেছিল রোজার ঈদের আগে দিবে। ঈদের আগে একটা তারিখ দিতে বলেছিলাম।'

এরপরে তো ঈদ শেষ হয়ে গেল। এরপরে আর তারিখ দেয়নি কেউ। তারপরে আবার ওরা বলেছে কোরবানি ঈদের আগে স্যালারি দিবে। কিন্তু আজকে শেষ কর্মদিবস। আজকেও তাদের কোন খোঁজ নেই।

তারপর বাধ্য হয়ে আমরা কোয়াবের (ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) সঙ্গে যোগাযোগ করি। এখন ওরা বলছে সেপ্টেম্বর মাসে আমাদের স্যালারি দিবে।’

অলক আফসোস ও অনুশোচনার সুরে বলেন, 'আমরা প্লেয়ার্স বাই চয়েছে খেলছি। বলা হয়েছিল এই সিস্টেমে পাওনা পারিশ্রমিক পেতে সমস্যা ও ভোগান্তি হবেনা। কিন্তু তারপরেও ঝামেলা হচ্ছে আমাদের। তিন মাস ধরে এখানে আসা যাওয়া করছি।'

'আর দলের সবাই তো একসাথে নেই। কেউ ঢাকায়, কেউ সিলেটে; তো একসাথে সবাইকে পাওয়া কঠিন। তাই এখন প্লেয়ার বাই চয়েস আমাদের জন্য ভাল হবে কিনা এটা নিয়ে আবারো চিন্তা করতে হবে। কেননা আমাদের সবার পরিবার চলে প্রিমিয়ার লিগের টাকায়।'

তিনি আরও বলেন, 'সবাই তো আর বিপিএল খেলে না। প্রিমিয়ার লীগ, এনসিএল, বিসিএলে খেলে; এমনকি বিসিএলেও সবাই খেলে না। তাই এই প্রিমিয়ার লীগ কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে সব কিছু মেনেও সময়মত স্যালারি না পাওয়া দুঃখজনক। আমাদের যেভাবে বলছে ওইভাবেই আমরা শুনছি। ক্রিকেট বোর্ডের কাছে আমাদের চাওয়া যে সময় ওরা আমাদের দিয়েছে, সেই সময়ের মধ্যে যেন টাকা দিয়ে দেয়।'

আর আমার একটা নির্দেশ থাকবে যে প্লেয়ার বাই চয়েস আমাদের জন্য ভালো হচ্ছে কিনা সেটাও আরেকবার দেখা উচিত। কেননা আগে আমরা এমনিতেই চুক্তি করে খেলতাম। তখন এসব সমস্যা হত না।

এদিকে অলক কাপালি তথা ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্রিকেটারদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোয়াবের জেনারেল সেক্রেটারি দেবব্রত পাল বলেন, 'ব্রাদার্স ইউনিয়নের এই ইস্যু নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। ক্রিকেট বোর্ড এবং সিসিডিএমের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি। আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিকেট বোর্ডকে দুটো চিঠি দেওয়া হয়েছে। একমাস আগে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল, তার আগে আরেকটি।'

কিন্তু এখনো ওদের পেমেন্ট ক্লিয়ার হয়নি, এই বিষয়টি দুঃখজনক। বিষয়টি কোয়াবের জন্য কতটুকু লজ্জার? এ প্রশ্নের জবাবে দেবব্রত পাল বলেন, 'দেখেন অলক কাপালি একজন টেস্ট ক্রিকেটার। সে যখন ঈদের আগে এসে মিডিয়ার সামনে এসব নিয়ে কথা বলে সেটা অবশ্যই সবার জন্য হতাশা জনক। শুধুমাত্র কোয়াবের জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে আমার জন্য না, পুরো কোয়াব কমিটির জন্যই বিষয়টি হতাশাজনক।'

এআরবি/এসএএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।