পোলার্ডের সেঞ্চুরিতে ১৪ ম্যাচ পর জিতল সেন্ট লুসিয়া
২০১৬ সালের আসরের এলিমিনেটর ম্যাচে হারের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল সিপিএলে সেন্ট লুসিয়া স্টারসের দুঃস্বপ্নময় যাত্রা। মাঝে ২০১৭ সালের আসরে জেতেনি একটিতেও। চলতি আসরেও হেরে গিয়েছিল টানা ৪টি ম্যাচ। সবমিলিয়ে টানা পরাজয়ের সংখ্যা ১৪টি ম্যাচে।
অবশেষে সেন্ট লুসিয়ার রক্ষাকর্তার ভূমিকায় এলেন কিয়েরন পোলার্ড। করলেন ক্যারিয়ার প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি, দলকে এনে দিলেন স্বস্তির জয়। সিপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়ে ৩৮ রানের ব্যবধানে বারবাডোজ ট্রাইডেন্টসকে হারিয়েছে সেন্ট লুসিয়া।
সেন্ট লুসিয়ার করা ২২৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৮৮ রান করতে পেরেছে বারবাডোজ। সেন্ট লুসিয়ার ইনিংসে তিনজন ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হলেও মাত্র তিন ব্যাটসম্যানের ঝড়ো ব্যাটেই সিপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় সেন্ট লুসিয়া।
টসে হেরে বারবাডোজের আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নামে সেন্ট লুসিয়া। ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার শূন্য রানে ফিরলেও কর্নওয়াল ও আন্দ্রে ফ্লেচারের ব্যাটে ঝড়ো শুরু পায় সেন্ট লুসিয়া। কর্নওয়াল মাত্র ১১ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরলে কিয়েরন পোলার্ডকে নিয়ে ঝর চালিয়ে নেন ফ্লেচার।
১৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৫২ বল খেলে ৮০ রান করেন তিনি। ৬টি করে ছক্কা ও চার মারেন তিনি। তবে ফ্লেচারকেও ছাড়িয়ে যান পোলার্ড। ৬টি চার ও ৮টি ছক্কার মারে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ৫৪ বল খেলে করেন ১০৪ রান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৬ রান করে সেন্ট লুসিয়া।
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই পিছিয়ে পড়ে বারবাডোজ। ডুয়াইন স্মিথ এক প্রান্ত ধরে রেখে রানের চাকা সচল রাখেন। ১০ চার ও ১ ছক্কার মারে ৪৫ বলে ৫৮ রান করেন তিনি। এছাড়া ডেভন স্মিথ ২৮, শাই হোপ ২৫ ও নিকোলাস পুরান ২৩ রান করলে ১৮৮ রানে গিয়ে থামে বারবাডোজের ইনিংস।
এসএএস/আরআইপি