ব্রাভোর ১০ ছক্কায় অপেক্ষা বাড়ল সেন্ট লুসিয়ার
২০১৬ সালের আসরে এলিমিনেটর ম্যাচ দিয়ে শুরু সেন্ট লুসিয়ার হারের ধারা, যা চলমান ২০১৮ সালের আসরের প্রথম ভাগ পর্যন্ত। মাঝে ১ ম্যাচ পরিত্যক্তসহ টানা ১৫ ম্যাচ ধরে জয়ের মুখ দেখে না ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) অন্যতম সেরা দল সেন্ট লুসিয়া স্টারস।
শুক্রবার প্রায় শেষ হতে চলেছিল সেন্ট লুসিয়ার জয়খরা। কিন্তু ড্যারেন ব্রাভোর অমানবিক ব্যাটিংয়ে টানা হারের সংখ্যাটা ১৪টে গিয়ে ঠেকল ড্যারেন স্যামির দলের। আগে ব্যাট করে ২১২ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল সেন্ট লুসিয়া। চোখের সামনে ছিল সম্ভাব্য জয়।
কিন্তু ব্রাভো ভাইদের ছোটজন ব্যাটিংয়ে নেমে শেষ করে দিলেন সব। ৩৬ বলে ১০ ছক্কার অপরাজিত ইনিংসে ১ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন নিজ দল ত্রিনিবাগো নাইট রাইডার্সকে। টানা দুই ম্যাচ হারার পর আবার জয়ের দেখা পেল ত্রিনিবাগো।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার নিষিদ্ধ ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটে দুর্দান্ত সূচনা পায় সেন্ট লুসিয়া। অপরাজিত ইনিংসে ৪ চার ও ৩ ছক্কার মারে ৫৫ বল খেলে ৭২ রান করেন ওয়ার্নার। রাকিম কর্ণওয়ালের ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ৫৩ রানের ইনিংস। আর শেষ দিকে কিয়েরন পোলার্ডের ২৩ বলে ৬৫ রানের টর্ণেডো ইনিংসে ২ উইকেট হারিয়ে ২১২ রানের পাহাড়ে চড়ে সেন্ট লুসিয়া।
কিন্তু বোলিংয়ে নেমে আর এই সুখস্মৃতি ধরে রাখতে পারেনি তারা। ৭১ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর চতুর্থ উইকেট জুটিতে মাত্র ৫৩ বলে ১২৯ রান যোগ করেন ত্রিনিবাগোর দুই ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও ড্যারেন ব্রাভো। ৩ চার ও ৬ ছক্কার মারে ৪২ বলে ৬৮ রান করে ফেরেন ম্যাককালাম।
তবে দলকে জয়ের বন্দর নিয়ে তবেই দম ফেলেন ব্রাভো। বল খেলেন মাত্র ৩৬টি। যার মধ্যে বাউন্ডারিই হাঁকান ১৬টিতে। ৬ চার ও ১০ ছক্কায় সীমানা দড়ি থেকেই আসে ৮৪ রান। শেষপর্যন্ত সেঞ্চুরি না পেলেও ৯৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে জয়ের পথে ফেরান ব্রাভো।
এসএএস/পিআর