৪০ বছর বয়সেও খেলে যাবেন অ্যান্ডারসন!

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:০৮ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০১৮

ত্রিশের ঘর পেরুতেই ক্রিকেটারদের অবসরের চিন্তা মাথায় ঘুরতে থাকে। ৩৫-এর পর তো দলে টিকে থাকাই কষ্টকর। ব্যাটসম্যান কিংবা স্পিনাররা তবু বেশি বয়সে খেলা চালিয়ে যেতে পারেন, পেস বোলারদের বেলায় ব্যাপারটা কঠিন। ৩৫ পেরুনোর পর বড় রানআপে গতির ঝড় বইয়ে দেয়া তো চাট্টিখানি কথা নয়। জেমস অ্যান্ডারসন সেই কাজটিই করে যাচ্ছেন ৩৬ বছর বয়সে।

৩৬-এ পা দিয়েও অ্যান্ডারসন তরুণ। সেটা বড় কথা নয়। এখনও যে ফিটনেস আর ফর্ম, তাতে আরও বছর চারেক তিনি খেলাটা চালিয়ে যেতে পারবেন, বিশ্বাস করেন ইংল্যান্ডের কোচ ট্রেভর বেলিস। হ্যাঁ, ভুল শুনছেন না। বেলিস মনে করছেন, অ্যান্ডারসনের মতো সেরাদের সেরার জন্য ৪০ বছর পর্যন্ত পেস বোলিং চালিয়ে যাওয়া কঠিন কিছু নয়।

সদ্য সমাপ্ত লর্ডস টেস্টের দিকেই তাকান না! ৪৩ রানে ভারতের ৯ উইকেট নিয়ে বলতে গেলে টেস্টটা একাই জিতিয়ে দিয়েছেন অ্যান্ডারসন। গত ৩৮ বছরের ইতিহাসে দেশের প্রথম বোলার হিসেবে ৯০০ রেটিং পয়েন্ট ছাড়িয়েছেন এই পেসার।

এমন যার ফর্ম, তার প্রশংসা তো ঝড়বেই কোচ বেলিসের কন্ঠে। ইংলিশ কোচ বলছিলেন, 'যদি আপনি বিশ্বের অন্য বোলারদের সঙ্গে তাকে তুলনা করেন। হ্যাঁ, বেশিরভাগ বোলার তাদের মধ্য তিরিশ বা তার বেশি হলেই বাদ পড়তে শুরু করেন। শুধুমাত্র খুব, খুব সেরারাই খেলা চালিয়ে যেতে পারেন। আমার মনে হয়, সে দেখিয়েছে যে সে সেরা, সেরাদের সেরা।'

২০১৫ সালে বেলিস যখন দায়িত্ব নেন, অ্যান্ডারসনের তখন বয়স ৩৩। নতুন কোচ হিসেবে স্বভাবতই ভবিষ্যত নিয়ে ভাবতে শুরু করেছিলেন বেলিস। কিন্তু অ্যান্ডারসন তাকে ভবিষ্যত নিয়ে ভাবতে দেননি। মাঠের পারফরম্যান্স কখনই পড়তির দিকে ছিল না তার। বরং একের পর এক রেকর্ড ভেঙে কোচের সবচেয়ে আস্থাভাজন বোলারের জায়গাটি দখলে নিয়েছেন এই পেসার।

শিষ্যের খেলায় বেলিস এমনই মজেছেন যে, ৪০ পর্যন্ত তাকে খেলা চালিয়ে যেতেই দেখতে চান ইংলিশ কোচ। তিনি বলেন, 'আমার মনে হয় না, এখানে বয়সের কোনো ব্যাপার আছে। সে ফিট এবং নিজেকে ফিট রাখছে। যদি সে তার শরীরকে ফিট রাখতে পারে, তবে আরও তিন থেকে চার বছর না খেলার কোনো কারণ নেই।'

এমএমআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।