ব্যাটিং-বোলিং কিছুই করেননি, তবুও বিজয়ী দলে
লর্ডস টেস্টে আদিল রশিদকে কেন খেলানো হলো? ইংলিশ টিম ম্যানেজম্যান্টকে যদি এমন প্রশ্ন করা হয়, তবে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে হতচকিয়ে উঠবে তারা। নিজেরাই হয়তো বলে বসবে, তাই তো, রশিদকে কেন খেলানো হলো?
রশিদ খান মূলত বিশেষজ্ঞ লেগস্পিনার, তার সঙ্গে ব্যাটিংটাও ভালো জানেন। তাই স্পিনিং অলরাউন্ডার হিসেবে দলে অন্তর্ভূক্তি তার। তবে লর্ডস টেস্টের ময়নাতদন্ত করলে কোনো জায়গাতেই ইংলিশ লেগস্পিনারের নামটি দেখা যাবে না। না বোলিং, না ব্যাটিং, না কোনো ব্যাটসম্যানের আউটে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন ঘটনা আগে কখনো দেখেছেন? হ্যাঁ, এটা বিরল এক ঘটনা। তবে যারা ভাবছেন এবারই প্রথম এমন ঘটলো, তারা একটি তথ্য শুনে অবাক হবেন। এবারই প্রথম নয়, বরং এর আগে ১৩ বার এমন ঘটনার সাক্ষী হয়েছে টেস্ট ক্রিকেট। আদিল রশিদ এই তালিকায় ১৪তম।
লর্ডসে বৃষ্টিবিঘ্নিত টেস্টে ভারতকে বলতে গেলে দুইদিনেই হারিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড, জিতেছে ইনিংস ব্যবধানে। প্রথম ইনিংসে ভারত ৩৫.২ ওভারে অলআউট হয় ১০৭ রানে। যা কাজ সেরেছেন চার পেসারই। স্পিনার আদিল রশিদকে বোলিংয়ে আনার প্রয়োজন বোধ করেননি অধিনায়ক জো রুট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ৩৯৬ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড। আদিল রশিদ প্যাড পরে বসে ছিলেন, ব্যাটিংয়ে নামার প্রয়োজন হয়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত যখন ব্যাটিংয়ে, তখন সেই একই চিত্র। ৪৭ ওভারে ১৩০ রানে অলআউট কোহলির দল। এবারও চার পেসারেই কাজ শেষ। রশিদ বল হাতে নেয়ার সুযোগ পেলেন না।
ব্যাট-বল না হয় পাননি। ভারতের দুই ইনিংসে এক দুইটা ক্যাচ কিংবা রানআউটের সুযোগ তো মিলবে! আদিল রশিদের কপাল এতটাই খারাপ যে, সেটাও হয়নি। ফলে ইতিহাসের ১৪তম দুর্ভাগা খেলোয়াড় হিসেবে সৌভাগ্যের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার।
এমএমআর/পিআর