ব্যর্থতা মেনে নিলেন তামিম

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৩৭ পিএম, ০৯ জুলাই ২০১৮

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের প্রথম ম্যাচে ব্যর্থতার ষোলোকলা পূরণ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। হতাশার চূড়ান্ত রূপ দেখিয়ে নিজেদের দুই ইনিংস মিলিয়ে দুইশো রানও করতে পারেননি তামিম-সাকিবরা। বিব্রতকর সব রেকর্ড গড়ে ইনিংস ও ২১৯ রানের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।

প্রথম টেস্টের ভেন্যু অ্যান্টিগার চেয়েও অনেক কঠিন উইকেটেও এর চেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে খেলেছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডে সম্পূর্ণ বিরোধী কন্ডিশনেও সাকিব-মুশফিকরা দেখিয়েছিলেন কিভাবে বড় ইনিংস খেলতে হয়। কিন্তু ক্যারিবীয় সফরেই যেন তারা ভুলে গেলেন ব্যাটিং।

প্রথম ইনিংসে নিজেদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন ৪৩ রানের রেকর্ড(!), পরে দ্বিতীয় ইনিংসে নুরুল হাসান সোহানের বীরোচিত ব্যাটিংয়ের পরেও মাত্র ১৪৪ রানে অলআউট। সবমিলিয়ে নিজেদের চেনা রূপের ধারেকাছেও ছিলো না বাংলাদেশ। এমন পারফরম্যান্সের পর ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে যাওয়াও যেনো কঠিনতম এক চ্যালেঞ্জ।

তাই বাংলাদেশ দলের ওপেনার তামিম ইকবাল কোন কারণ খোঁজার চেষ্টা করলেন না। সরাসরি মেনে নিলেন নিজেদের ব্যর্থতা। কেননা দুই ইনিংসে সমানভাবে হতাশামূলক পারফরম্যানস করার ইতিহাস যে খুব একটা নেই বাংলাদেশের। অ্যান্টিগায় কিভাবে কি হলো সেটি কারণও বের করা অসম্ভবই বটে। তবে জাতীয় দলের ওপেনার তামিম ইকবালের আশা দ্বিতীয় ম্যাচেই নিজেদের চেনা ছন্দে ফিরতে পারবেন তারা।

সোমবার দুপুরে এক ভিডিও বার্তায় তামিম বলেন, ‘আপনাদের সবার মতো আমরা নিজেরাও প্রচন্ড একটি ধাক্কা খেয়েছি। কেননা প্রথম ম্যাচে আমরা যেমন খেলেছি তার চেয়ে অনেক ভাল খেলার সামর্থ্য আমাদের রয়েছে। আমরা কোন অজুহাত খোঁজার চেষ্টা করছি না। আমরা বেশ ভালোভাবেই জানি যে আমাদের ভুলের কারণেই অ্যান্টিগায় এমন হয়েছে। আমরা যেমন খেলেছি তা আসলে কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়।’

প্রথম টেস্টের ব্যর্থতার পরেও বাংলাদেশের সামনে সুযোগ রয়েছে ঘুরে দাঁড়ানোর। আগামী ১২ জুলাই কিংস্টনে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে। সেই ম্যাচেই তামিমদের প্রমাণ করতে হবে নিজেদের সামর্থ্য। ফুটবল বিশ্বকাপের ডামাডোলে জাতীয় দলের প্রথম ম্যাচের ব্যর্থতা তেমন আলোচিত-সমালোচিত না হলেও, দ্বিতীয় টেস্টের ন্যুনতম ব্যর্থতায় জেগে উঠবে বাংলার আপামর ক্রিকেট জনতা।

হতাশা ভুলে সফল হতে তামিমদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নিজেদের প্রতি বিশ্বাস। দেশসেরা ওপেনার নিজেও জানেন এটি। তাই পরের ম্যাচে নিজেদের সামর্থ্যের প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখেই ব্যক্তিগত ও দলীয় সাফল্য আনার কথা বলেন তামিম।

তার ভাষ্যে, ‘আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে যে আমাদের নিজেদের উপর বিশ্বাসটা থাকতে হবে। নিজেদের সামর্থ্যের সম্পূর্ণটা দিয়ে চেষ্টা করতে হবে। বিশ্বাস রাখতে হবে যে আমরা বিরুদ্ধ কন্ডিশনেও বড় ইনিংস খেলতে পারি। আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে যে আমরা ব্যক্তিগত বা দলীয়; উভয় দিকেই আমাদের প্রতিপক্ষের চেয়ে ভালো খেলতে পারি।’

এসময় অ্যান্টিগায় নুরুল হাসান সোহানের সাহসী ব্যাটিংয়েরও প্রশংসা করেন তামিম। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের এই ইনিংস দলের মধ্যে সাহস জুগিয়েছে বলে মনে করেন তিনি। তামিম বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে সোহান যেভাবে ব্যাটিং করলো এবং রুবেল নিচে নেমে যতোটা সহায়তা করলো, এতেই প্রমাণ হয় যে আমরা যদি উইকেটে টিকে থাকতে পারি তাহলে রান করা খুব একটা কঠিন নয়।’

এসএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।