স্বাগতিকদের হারালেই ফাইনালে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫৫ এএম, ০৯ জুন ২০১৮

নারী এশিয়া কাপের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার আগে অন্তত ফাইনাল খেলার আশা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সালমা খাতুন। এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচের আগে সেই লক্ষ্য পূরণের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশি নারীরা। স্বাগতিক মালয়েশিয়ার বিপক্ষে জয় পেলেই দ্বিতীয় দল হিসেবে এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছে যাবেন সালমা-রোমানারা।

শনিবার দিনের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দলকে ৭ উইকেটে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল। দিনের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক মালয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের দুর্বলতম দল মালয়েশিয়ার বিপক্ষে যেকোন ব্যবধানে জয়ই টাইগ্রেসদের তুলে নেবে ফাইনালে।

টুর্নামেন্টে এখনো পর্যন্ত ৪ ম্যাচ খেলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩টি জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে হেরে হতাশাজনক শুরু করলেও পরের তিন ম্যাচে জিতে নিজেদের লক্ষ্য পূরণের দিকে এগিয়ে যায় সালমা খাতুনের দল। টুর্নামেন্টের নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে জয়ের খাতা খোলে বাংলাদেশ।

পরের ম্যাচে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে ইতিহাস গড়া জয় পায় বাংলাদেশ। নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ১৪২ রান করে ভারতীয় নারীদের ৭ উইকেটে হারায় বাংলাদেশি নারীরা। সবশেষ ম্যাচে তুলনামূলক দুর্বল থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ উইকেটের জয় দিয়ে ফাইনালের পথে এগিয়ে যায় তারা।

অন্যদিকে স্বাগতিক মালয়েশিয়া নিজেদের ৪ ম্যাচে জয়ের দেখা পায়নি ১টিতেও। শুধু এটুকু দিয়ে তাদের দুর্বলতা বোঝানো সম্ভব নয়। এই চার ম্যাচে মালয়েশিয়ান নারীদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিল ৪৬ রান। এছাড়া ভারতের বিপক্ষে ২৭ এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩০ রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড গড়ে তারা।

তাই টুর্নামেন্টের দুর্বলতম দলটির বিপক্ষে বাংলাদেশি নারীদের জয় না পাওয়ার কোন কারণ আপাতদৃষ্টিতে নেই। এই ম্যাচে জিতলেই ফাইনালের টিকিট পেয়ে যাবেন রোমানা-সালমারা। বাংলাদেশ সময় দুপুর বারোটায় কুয়ালালামপুরের কিনরারা একাডেমি ওভারলে স্বাগতিকদের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।

এসএএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।