লজ্জা এড়াতে পারবে তো বাংলাদেশ!

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:২৭ পিএম, ০৭ জুন ২০১৮

ইতিহাসের সবচেয়ে বড় লজ্জা কোনটি বাংলাদেশের ক্রিকেটের? ২০০৩ বিশ্বকাপে কানাডার কাছে পরাজয়! নাকি ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে ভারতকে ১০৫ রানে অলআউট করে দেয়ার পরও ৫৮ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জা! ভারতের সামনে ৫৮ রানে অলাআউট হওয়াটা বাজে পারফরম্যান্স হতে পারে, ‘লজ্জা’র ক্যটাগরিতে ফেলা যায় না। কানাডার কাছে হেরে ২০০৩ সালে যখন বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছিল, তখন বাংলাদেশ টেস্ট ঘরানায় একেবারেই নতুন দল।

এরপর ছোট-বড় অনেক হার সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের। ছিল হতাশাজনক অনেক হারও; কিন্তু এবার আফগানিস্তান বাংলাদেশকে যে লজ্জার মুখে ফেলেছে, এতটা লজ্জা নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে আর পায়নি কখনও টাইগাররা। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটিতেই ইতোমধ্যে হেরে বসেছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচটির ইতোমধ্যেই টস হয়ে গেছে। এই ম্যাচে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে কী হবে, সে দিকেই তাকিয়ে পুরো দেশের মানুষ। আগের দুই ম্যাচে যেভাবে হেরেছে, সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে তো ইতিহাসের চরম লজ্জায় পড়তে হবে সাকিব আল হাসানদের।

আফগানিস্তান ক্রিকেটে উদীয়মান শক্তি। ইতোমধ্যেই তারা হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মত দলকে। জিম্বাবুয়েকে তো এখন বলে কয়ে হারায় তারা। তারওপর বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে জিম্বাবুয়েকে পেছনে ঠেলে দিয়ে চূড়ান্ত পর্বে নাম লিখেছে আফগানরাই। টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে তারা এমনিতেই বাংলাদেশের ওপরে; কিন্তু তাই বলে তো কোনোভাবেই তাদের কাছে হোয়াইটওয়াশ মেনে নেয়া যায় না।

আগের দুই ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং কিংবা ফিল্ডিং- সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে ছিল আফগানিস্তান। আর মাত্র এক সপ্তাহ পরেই নিজেদের ইতিহাসে প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে আফগানরা। সে কারণেই হয়তো তারা কিছুটা উজ্জীবিত। তার ওপর, আফগানরা নিজেদের একাদশে পেয়ে গেছে বেশ কয়েকজন ভালোমানের বোলার। রশিদ খান তো ইতোমধ্যেই নিজেকে সেরা প্রমাণ করেছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। র্যাংকিংয়ে তিনিই এখন শীর্ষে।

সিরিজ শুরুর আগেই রশিদ খানকে নিয়ে অনেক আলোচনা। বাংলাদেশের প্রতিটি খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তার মুখে রশিদ খান জুজু। সেই জুজু আর কাটাতে পারলো না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই এক রশিদ খানের কাছে নাকাল হয়েছে সাকিব আল হাসানরা। সঙ্গে মুজিব-উর রহমান, মোহাম্মদ নবী কিংবা শাপুর জাদরানরা। রশিদ খানের বলই বুঝতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। যে কারণে দুই ম্যাচ মিলে তার দখলে গেছে ৭ উইকেট। মোহাম্মদ নবি এবং শাপুর জাদরান নিয়েছেন ৪টি করে উইকেট। সিরিজে এখনও পর্যন্ত সেরা তিন ব্যাটসম্যান আফগানিস্তানের।

তৃতীয় ম্যাচে সাকিব আল হাসানরা কী করেন সে দিকে তাকিয়ে পুরো বাংলাদেশ। রশিদ খান জুজু কাটিয়ে কী পারবে বাংলাদেশ, নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে লজ্জা থেকে বাঁচতে? আপাতত দেরাদুনেই চোখ পুরো বাংলাদেশের।

আইএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।