আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি বন্ধ করার পরামর্শ স্মিথের

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৩৬ পিএম, ৩১ মে ২০১৮

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তায় প্রায় মরতে বসেছে অভিজাত টেস্ট ক্রিকেট। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের টাকার ঝনঝনানি আর গ্ল্যামারের হাতছানিতে অনেক ক্রিকেটারই টেস্ট ক্রিকেটের চেয়ে টি-টোয়েন্টিকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন বেশি। টেস্ট ক্রিকেটের এই দুরাবস্থা ঠেকাতে অভিনব এক পরামর্শ দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ।

টেস্ট ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকা তথা বিশ্বের অন্যতম সেরা অধিনায়ক ছিলেন স্মিথ। একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে পঞ্চাশোর্ধ্ব (৫৩টি) ম্যাচ জয়ের রেকর্ড রয়েছে তার। টেস্ট ক্রিকেটের বর্তমান ঝিমানো অবস্থার পেছনে যেয়ে মূখ্য অবদান রয়েছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের, তা ভালো করেই জানেন স্মিথ। তাই অভিজাত টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে টি-টোয়েন্টি বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে স্মিথ বলেন, ‘আইসিসির সম্ভবত ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য ছয় মাস করে নির্দিষ্ট সময় ভাগ করে দেয়া উচিৎ। আমার মনে হয় না আন্তর্জাতিক পর্যায়ে টি-টোয়েন্টি খেলার কোন দরকার আছে। এই ক্রিকেটটা ঘরোয়া পর্যায়েই থাক এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হোক টেস্ট এবং ওয়ানডে। এর সাথে কয়েক বছর পর বিশ্বকাপ হলে উত্তেজনাও বাড়বে।’

স্মিথ মনে করেন টেস্ট ক্রিকেটে আরও বেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে আরও বেশি বিনিয়োগ দরকার। টেস্ট ক্রিকেটের প্রচারে আরও টাকা ঢালতে হবে, যেমনটা করা হয়ে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টগুলোতে। টেস্ট ক্রিকেটের আভিজাত্য এবং এর ঐতিহাসিকতার প্রচারে আরও টাকা বিনিয়োগ করা উচিৎ।’

এসময় স্মিথ জানান ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির মতো যারা টেস্ট ক্রিকেটের কিংবদন্তী হতে ইচ্ছুক তাদের আরও সুযোগ দেয়া উচিৎ, আরও উৎসাহিত করা উচিৎ। তিনি বলেন, ‘বিরাট কোহলির মতো তারকা ক্রিকেটারদের টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ এবং নিবেদন এই ফরম্যাটের জন্য ইতিবাচক দিক। এটাই সবার জন্য আদর্শ হওয়া উচিৎ। কোহলির মত ক্রিকেটাররা টেস্ট ক্রিকেটকে বেশি প্রাধান্য সারা বিশ্বের মানুষও তাই করবে।’

এসএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।