যে কারণে ফাইনালে হারলেন সাকিবরা

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১৫ পিএম, ২৮ মে ২০১৮

রোববার আইপিএল ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি সাকিব আল হাসানের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসনের সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে জিতে নিজেদের তৃতীয় আইপিএল শিরোপা ঘরে তোলে চেন্নাই। এক মৌসুমেই চতুর্থবারের মতো চেন্নাইয়ের কাছে হেরে যান সাকিবরা।

অথচ পুরো আসর জুড়ে দুর্দান্ত খেলেছে সাকিবের দল। প্রথম পর্বের সেরা দল হয়েই তারা নিশ্চিত করে শেষ চার। কিন্তু এই হায়দরাবাদই কিনা নিজেদের শেষ ৬ ম্যাচে জিতেছে মাত্র ১টিতে। সবকিছু ছাপিয়ে ফাইনালের পরাজয়টিই তাদের সবচেয়ে বড় ক্ষতি করে ছেড়েছে। দ্বিতীয় শিরোপা স্বপ্ন জেতার ম্যাচে সাকিবদের পরাজয়ের কারণগুলো দেখে নেয়া যাক:

টসে হেরে যাওয়া
আইপিএলের ইতিহাসের আগের ১০ ফাইনালের মধ্যে ৭ ম্যাচেই জিতেছে প্রথমে ব্যাট করা দল। এই পরিসংখ্যান মাথায় রেখেও টসে জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। আর এতেই হায়দরাবাদের পরাজয় অর্ধেক নিশ্চিত হয়ে যায়। কেননা মুম্বাইয়ের মাঠে ‘শিশির’ এর প্রভাবে রাতের দিকে রান তোলা সহজ হয়। সেই সুবিধা কাজে লাগিয়েই ৯ বল হাতে রেখে ১৮০ রান করে ফেলে চেন্নাই।

রশিদ খানের উইকেটশূন্য থাকা
পুরো আসরে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন আফগানিস্তানের লেগস্পিনার রশিদ খান। কিন্তু ফাইনাল ম্যাচে হতে পারেননি হায়দরাবাদের তুরুপের তাশ। আগের ১৬ ম্যাচে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ উইকেট নেয়া রশিদ ফাইনাল ম্যাচে নিতে পারেননি ১টিও উইকেট। তার বিরুদ্ধে স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলেছেন ওয়াটসন-রাইডুরা। যার ফলে রশিদের পূর্ণ ফায়দা পায়নি হায়দরবাদ।

চাহার-এনগিডির দুর্দান্ত পাওয়ার প্লে ওভার
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দ্বিপক চাহার এবং লুঙ্গি এনগিডির পেস তোপে পড়ে হায়দরাবাদ। পাওয়ার প্লে’তে টানা ৫ ওভার বোলিং করে মাত্র ৩০ রান খরচ করে এই জুটি। নিজের ৩ ওভারে মাত্র ২২ রান দেন চাহার, ২ ওভারে এক মেইডেনের মাধ্যমে মাত্র ৮ রান খরচ করেন চাহার। ফাইনাল ম্যাচে এই জুটির এমন আঁটসাঁট বোলিংয়েই এগিয়ে যায় চেন্নাই।

রায়না-ওয়াটসনের কুশলী জুটি
হায়দরাবাদের করা ১৭৯ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার ফাফ ডু প্লেসির উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল চেন্নাই। ভুবনেশ্বর কুমার এবং স্বন্দ্বিপ শর্মার আঁটসাঁট বোলিংয়ে রানও তুলতে পারছিলেন না ম্যাচসেরা ওয়াটসন। সেখান থেকে দ্বিতীয় উইকেটে মাত্র ৫৭ বলে ১১৭ রানের কুশলী জুটি গড়েন সুরেশ রায়না এবং শেন ওয়াটসন। শুরুতে ধীরগতিতে রান তুললেও সময় পেরুতেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে এই জুটি। মূলত এই জুটিতেই ম্যাচ বের করে নেয় চেন্নাই।

ধীর শুরু করা ওয়াটসনের ঝড়ো ইনিংস খেলা
ফাইনাল ম্যাচে রান তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে বাজেভাবে শুরু করেছিলেন শেন ওয়াটসন। নিজের মুখোমুখি প্রথম ১০ বলে কোন রানই করতে পারেননি তিনি। ১১ বলে প্রথম রান করা ওয়াটসন ৩৩ বলে পূরণ করেন নিজের অর্ধশত। আসরে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করতে তিনি খেলেন মাত্র ৫১টি বল। ইনিংস শেষে ৫৭ বলে ১১৭ রানে অপরাজিত থেকে যান তিনি। স্বন্দ্বিপ শর্মার করা ১৩তম ওভারে ৩টি ছয় এবং ২টি চারের মারে ২৭ রান নিয়েই মূলত ম্যাচ নিজেদের করে নেন ওয়াটসন।

এসএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।