ফিক্সিংয়ের প্রমাণ চেয়েছে অস্ট্রেলিয়া

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৫৪ পিএম, ২৭ মে ২০১৮

আল জাজিরা টিভির এক ডকুমেন্টারিতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গত তিন বছরে নাকি তিনটি টেস্ট ফিক্সিং করেছে ভারত। এর মধ্যে একটি টেস্ট আছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। ঘটনা তদন্তের জন্য আল জাজিরা টিভির কাছে থাকা প্রমাণ চেয়েছে তারা।

‘অ্যা ডকুমেন্টারি অন ক্রিকেট করাপশন’- নামে আল জাজিরার অনুসন্ধানে উঠে এসেছে গত তিন বছরে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তিন ম্যাচে ফিক্সিং করেছিল ভারতীয়রা। এর মধ্যে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি টেস্ট ভারতের মাটিতে এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাকি টেস্টটি শ্রীলঙ্কার মাটিতেই পাতিয়েছিল ভারত।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাতানো টেস্টটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল চেন্নাইতে, ২০১৬ সালের ১৬ থেকে ২০ ডিসেম্বরে। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে পাতানো টেস্ট ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৭ সালেই গলে, ২৬ থেকে ২৯ জুলাইয়ে। আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাতানো টেস্ট ম্যাচটি ২০১৭ সালের মার্চে, ১৬ থেকে ২০ তারিখ।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বলেছে, ‘আইসিসি কিংবা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে কোনো পক্ষই অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়দের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ সম্পর্কে অবগত নয়।’ তাদের দাবি, আল জাজিরা টিভির এই ডকুমেন্টারি কিংবা ফুটেজ দেখেনি সিএ। তাই তদন্তের স্বার্থে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষের কাছে থাকা তথ্য-প্রমাণ চেয়েছে তারা।

রাঁচিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের টেস্টটি নিয়ে অভিযোগ হলো, ম্যাচের নির্দিষ্ট কিছু সময় ফিক্সারদের বেঁধে দেয়া কম স্কোরিং রেটে রান করেছেন অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন ব্যাটসম্যান। ডকুমেন্টারিতে দুর্নীতি বিষয়ক একটি কোম্পানিতে কাজ করা আনিল মুনাওয়ার নামে ভারতের একজন নাগরিক ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে অস্ট্রেলিয়ার দুজন খেলোয়াড়ের নাম উল্লেখ করেন। তবে আল জাজিরা জানিয়েছে, দলের বাকি খেলোয়াড়দের এই ফিক্সিংয়ে জড়িত খাতার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

ওই ডকুমেন্টারিতে দুজন খেলোয়াড়ের নাম এডিট করে প্রচার করা হয়। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া আল জাজিরা টিভিকে অনুরোধ করেছে, এডিটিং ছাড়া আসল ফুটেজটা যেন তাদের হাতে দেয়া হয়। সেটি হাতে পাওয়ার পরই কোমড় বেঁধে তদন্তে নেমে পড়বে সিএ।

এমএমআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।