স্কিলে বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখছেন সুজন

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:৫২ পিএম, ২১ মে ২০১৮

বৃষ্টি বাগড়া দিয়েছে। না হয়, আজ সকালেই শুরু হয়ে যেতো টাইগারদের স্কিল ট্রেনিং। কিন্তু সকালের ভারি বৃষ্টির কারণে তা শুরু হলো দুপুরের পর। এক সপ্তাহর ফিজিক্যাল ট্রেনিংয়ের পর ক্রিকেট প্র্যাকটিস বা ব্যাট-বলের অনুশীলন করলেন জাতীয় ক্রিকেটাররা।

আর ঠিক ১২ দিন পর ভারতের দেরাদুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু। তার আগে প্রথম ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন।

আসন্ন সিরিজে কেমন করবে বাংলাদেশ? দুই আফগান স্পিনার রশিদ খান ও মুজিব উর রহমানকে সামলাতে গিয়ে তামিম, সৌম্য, লিটন, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ আর সাব্বিররা হিমশিম খাবেন না তো? এ প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে।

টিম বাংলাদেশ ওই দুই আফগান স্পিনারকে নিয়ে কি ভাবছে? আজ স্কিল ট্রেনিংয়ের প্রথম দিন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপে ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন শোনালেন অভয় বাণী। তার কথা, ‘আমরা ওইভাবে নিচ্ছি না। দুই স্পিনার বাদেও ১২টা ওভার ব্যাট করতে হবে। আমি একটু আগেই বললাম- রশিদ, মুজিব ছাড়াও আমাদের ১২টা ওভার খেলতে হবে। ওই ১২টা ওভার খুব গুরুত্বপূর্ণ। টি-টোয়েন্টিতে ১২০টা বলই খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ১২০টা বল ভালো খেলতে চাই।’

টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে আট নাম্বারে আছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশ এখানে দশ নাম্বারে। আসন্ন সিরিজে তাই কেউ কেউ আফগানিস্তানকেই এগিয়ে রাখছেন। তবে সুজন তাদের সঙ্গে একমত নন। তার ব্যাখ্যা, ‘আমার মনে হয় আফগানিস্তান এগিয়ে টাইপ কথাই বেশি হচ্ছে। আমি তা মনে করি না। বরং আমার দৃঢ় বিশ্বাস, স্কিলের দিক থেকে বাংলাদেশ অপেক্ষাকৃত ভালো দল।’

স্কিল ট্রেনিংয়ের প্রথম দিন কি কি হলো? জানাতে গিয়ে টাইগার ম্যানেজার বলেন, ‘শুরু হল আজকে। টি-টোয়েন্টি মাথায় রেখেই বোলিং-ফিল্ডিং হচ্ছে। বোলাররা নতুন বলে কি ফিল্ডিং নিয়ে বল করবে, পুরান বলে কি করবে ইত্যাদি। বৈচিত্র্যগুলো কি হচ্ছে। ব্যাটসম্যানদেরও একই, আক্রমণাত্মক খেলার অনুশীলন করছে। আপাতত সব ঠিক ঠাক।’

সুজন মনে করেন না যে, দেরাদুনের উইকেট খুব একটা স্পিন ফ্রেন্ডলি হবে। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না খুব একটা স্পিন ফ্রেন্ডলি উইকেট হবে। আমার মনে হয় উইকেটে বাউন্স থাকতে পারে। আমাদের এখান থেকে যে দেখতে গিয়েছিল, শুনলাম যে ঘাস আছে অনেক। আমাদের সিরিজ শুরুর আগে ৭টার মতো ম্যাচ হবে ওই গ্রাউন্ডে। তখন হয়তো ঘাস কমে যাবে। বাউন্স থাকতে পারে। আর স্পিন ফ্রেন্ডলি হলে আমাদের জন্যও ভালো। ওরাও স্পিনে এত ভালো, তা না। আমরা প্রস্তুত যে রকম উইকেট হোক না কেন।’

খালেদ মাহমুদ সুজনের বদ্ধমূল ধারণা, আফগানদের হারানোর পর্যাপ্ত সামর্থ্য আছে তার দলের ক্রিকেটারদের। তাই তো মুখে এমন আত্মবিশ্বাসী সংলাপ, ‘আমাদের জন্য সিরিজ জেতাটা খুব জরুরী। সিরিজ জিতলেই র্যাংকিং আগাবে। তবে এখন এগুলো মাথায় নিয়ে লাভ নেই। আমি বিশ্বাস করি, আফগানিস্তানকে হারানোর সামর্থ্য আমরা রাখি। যে কোনো কন্ডিশনে আমরা ভালো দল। আমরা স্কিলফুল দল। আমাদের ব্যাটিং, বোলিং-সব ওদের থেকে ভালো। হ্যাঁ, ওদের বিশ্বসেরা স্পিনার আছে। কিন্তু ওদের পুরো দল ভারসাম্যপূর্ণ নয়। আমরা যদি আমাদের ডিসিপ্লিন ঠিক রাখি, বেটার ক্রিকেট খেলি; তাহলে আমার মনে হয় যে কোনো সময়, যে কোনো দিনেই আফগানিস্তানকে হারাতে পারি।’

বাংলাদেশের বর্তমান হেড কোচ কোর্টনি ওয়ালশ কাল আসবেন- এ তথ্য জানিয়ে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘কোর্টনি কাল সন্ধ্যায় আসবে। ২৪ তারিখ থেকে হয়তো বা কাজ শুরু করবে দলের সঙ্গে। কাল যেহেতু আসবেই তখন মাঠে আসতে পারবে না হয়তো। আর পরশু দিন তো আমাদের প্র্যাকটিস অফ থাকছে।’

পেসার মোস্তাফিজুর রহমান এখন আছেন আইপিএলে। কথোপকথনের শেষ অংশে ম্যানেজারের কাছে তার সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি তিনি। সুজন বলেন, ‘আমি নিশ্চিত নই। হয়তো আজ-কালের মধ্যেই আসবে। মোস্তাফিজ তো থাকার কথা না। তাছাড়া চলে আসার পরও মোস্তাফিজ তো একটু বিশ্রামে থাকা উচিত। কারণ ওখানে ম্যাচ খেলেছে, অনুশীলন করেছে।’

এআরবি/এমএমআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।