আরও একটি ম্যাচ হারলেই বিদায় মোস্তাফিজের মুম্বাই’র!

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৩০ পিএম, ০২ মে ২০১৮

আইপিএলের চলতি আসর শুরুর আগে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সামনে চ্যালেঞ্জ ছিল নিজেদের শিরোপা ধরে রাখার। অথচ টুর্নামেন্টের মাঝপথ পেরিয়ে তাদের সামনে এখন নতুন চ্যালেঞ্জ দাঁড়িয়েছে, কোনোভাবে কোয়ালিফায়ার রাউন্ডের টিকিট কাটা। কেননা বাকি থাকা ৬ ম্যাচের ১টিতেও যদি হারে, তাহলেই সবার আগে এবারের আইপিএল থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে মোস্তাফিজুর রহমানের দলের। অথ্যাৎ, শেষ চারে যেতে হলে বাকি থাকা ৬টি ম্যাচ অবশ্যই জিততে হবে মুম্বাইকে।

চলতি মৌসুমে নিজেদের ইতিহাসের নিকৃষ্ট সূচনা করেছে মুম্বাই। এখনো পর্যন্ত খেলা ৮ ম্যাচ খেলে মাত্র ২টিতে জিতেছে তারা। হেরেছে বাকি ৬ ম্যাচেই। তবে এর আগে ২০১৪ সালের আসরেও প্রথম ৮ ম্যাচের ৬টিতেই হেরে গিয়েছিল তারা। এবং মজার বিষয় হচ্ছে ২০১৭ সালের মতো ২০১৩ সালের আসরেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো তারা। অর্থ্যাৎ শিরোপা জেতার পরের দুই মৌসুমেই খাবি খেতে হচ্ছে তাদের।

তবে মুম্বাইয়ের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে এটি যে, ২০১৪ সালের আসরে প্রথম ৮ ম্যাচের ৬টিতে হেরেও শেষ চারে উঠতে পেরেছিল তারা এবং চতুর্থ হয়েই টুর্নামেন্ট শেষ করেছিল। আবারো ২০১৪ সালের সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে হলে বাকি থাকা ৬ ম্যাচের সবক’টিতে জিততে হবে টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।

পরবর্তী ৬ ম্যাচে মুম্বাইয়ের প্রতিপক্ষরা হচ্ছে যথাক্রমে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব (৪ মে), কলকাতা নাইট রাইডার্স (৬ মে), কলকাতা নাইট রাইডার্স (৯মে), রাজস্থান রয়্যালস (১৩ মে), কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব (১৬ মে) এবং দিল্লি ডেয়ারডেভিলস (২০ মে)। অর্থ্যাৎ দুর্দান্ত খেলতে থাকা কলকাতা এবং পাঞ্জাবের বিপক্ষে ২টি করে ৪টি ম্যাচ খেলতে হবে মোস্তাফিজদের। বাকি ২ ম্যাচের প্রতিপক্ষ তুলনামূলক সহজ রাজস্থান এবং দিল্লি।

কলকাতা এবং পাঞ্জাবের বিপক্ষে হওয়া ৪ ম্যাচে সবকটিতে জয়সহ রাজস্থান এবং দিল্লির বিপক্ষে জয় পেলেই কেবল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মান রক্ষা করতে পারবে মুম্বাই। নতুবা টুর্নামেন্টের রেকর্ড ৩বার চ্যাম্পিয়ন হয়েও পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকেই শেষ হবে মুম্বাইয়ের এবারের আইপিএল অভিযান।

এসএএস/আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।