গেইলের তিনে তিন!
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাটিংয়ের শেষ কথাই হওয়া উচিৎ ক্রিস্টোফার হেনরি গেইল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ব্যাটিং রেকর্ডের সব তালিকায় সবার উপরের নামটি ক্যারিবিয়ান এই মারকুটে ব্যাটসম্যানের। অথচ তাকেই কি না এবারের আইপিএলে কিনতে চায়নি কোনো দল! শেষ মুহূর্তে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের দলে সুযোগ পেয়ে গেইল দেখিয়ে দিচ্ছেন, কি ভুলটাই না করেছিল বাকি দলগুলো!
প্রীতি জিনতার পাঞ্জাব ভিত্তি মূল্য দিয়েই গেইলকে শেষ মুহূর্তে দলে ভেড়ায়। তারাও নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে বেঞ্চেই বসিয়ে রাখে টি-টোয়েন্টির রাজাকে। ওদিকে খেলার অপেক্ষায় উন্মুখ গেইল শান দিতে থাকেন নিজের ব্যাটে। পাঞ্জাবের তৃতীয় ম্যাচে সুযোগ পেয়েই জানান দেন, এখনই দমে যাননি তিনি। এখনো পর্যন্ত খেলা তিন ম্যাচেই তিনি খেলেছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস। মাঝেরটিতে আবার করেছেন এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরি।
চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সুযোগ পান গেইল। তার ব্যাটে চড়ে ১৯৭ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় পাঞ্জাব। দুই ম্যাচ বেঞ্চে বসে থাকার সব রাগ গেইল উগড়ে দেন তাহির-ব্রাভোদের বিপক্ষে। ৭টি চার এবং ৪টি ছক্কার মারে মাত্র ৩৩ বলেই ৬৩ রান করেন গেইল। আশা জাগিয়েও বঞ্চিত হন আইপিএল ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি থেকে।
পরের ম্যাচে আর ভুল করেননি তিনি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে বসান ছক্কার বৃষ্টি। ইনিংসের শুরু থেকে খেলেন শেষ পর্যন্ত। ১টি চারের সাথে ১১টি ছক্কার মারে ৬৩ বল খেলে তিনি করেন ১০৪ রান। পাঞ্জাব পায় ১৯৩ রানের সংগ্রহ।
আর সবশেষ কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে পূরণ করেন ফিফটির হ্যাটট্রিক। কলকাতার করা ১৯১ রানের জবাবে মাত্র ৮.২ ওভারেই ৯৬ রান করে ফেলে পাঞ্জাব। বৃষ্টিতে থেমে যায় খেলা, তখন ৪৯ রানে অপরাজিত গেইল। পরে বৃষ্টি থামলে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩ ওভারে ১২৫ রানের। ৩৮ বলে ৫ চার এবং ৬ ছক্কায় ৬২ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি।
মাত্র তিন ম্যাচেই তিনি হাঁকিয়েছেন ২১টি ছক্কা, করেছেন ২২৯ রান। দুটিই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ। ৪ ম্যাচ খেলে ২০৯ রান নিয়ে শীর্ষে ছিলেন ব্যাঙ্গালুরুর বিরাট কোহলি। তিন ম্যাচ খেলেই তাকে পেছনে ফেললেন গেইল। আর স্বদেশি আন্দ্রে রাসেল ৬ ম্যাচ খেলে ১৯ ছক্কার মারে ছিলেন শীর্ষে। অর্ধেক ম্যাচেই নিজের রাজ্য ফেরত নিয়ে নিলেন জ্যামাইকান ঝড় ক্রিস গেইল।
এসএএস/আইএইচএস