বন্ধ হতে পারে চেন্নাইয়ের আইপিএল

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:০৬ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০১৮

মঙ্গলবার দীর্ঘ দুই বছর পর ঘরের মাঠে খেলতে নেমেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। তবে অনাকাঙ্খিত ঘটনায় সেই ম্যাচটিই ঘরের মাঠে তাদের শেষ ম্যাচ হয়ে যেতে পারে। নিরাপত্তা ঝুঁকিতে চেন্নাই থেকে আইপিএলের ম্যাচ সরিয়ে নেয়ার কথা ভাবছে গভর্নিং কাউনসিল।

মঙ্গলবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে শেষ ওভারে অসাধারণ জয় পায় চেন্নাই; কিন্তু ম্যাচের মাঝ পথেই ঘটে ন্যাক্কারজনক ঘটনা। বাউন্ডারি সীমানায় থাকা তিন চেন্নাই ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজা, লুঙ্গি এনগিদি এবং ফাফ ডু প্লেসিকে লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ করা হয়। জানা যায়, কাবেরি নদী বিষয়ক আন্দোলনের অংশ হিসেবেই ঘটে এই জুতা নিক্ষেপের ঘটনা।

এতেই প্রশ্ন উঠে যায়, চেন্নাইয়ের নিরাপত্তা নিয়েও। এত কড়া নিরাপত্তা সত্ত্বেও কিভাবে দর্শকসারি থেকে জুতা নিক্ষেপ করা হলো তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছে চিপকের এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের কর্মকর্তারা।

অন্যদিকে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী সেখানকার পুলিশ জানিয়েছে, চেন্নাই তথা তামিল-নাড়ু অঞ্চলের বিশাল এই আন্দোলনকারী গোষ্ঠীদের থামানো তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। যদিও চেন্নাই সুপার কিংস ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে আলোচনায় বসে টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছিল চেন্নাই রাজ্য পুলিশ।

চেন্নাইয়ের মাঠে আইপিএলের পরের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০ এপ্রিল। রাজস্থান রয়্যালসকে আতিথেয়তা দেয়ার কথা ধোনি-রায়নাদের; কিন্তু চলমান অস্থিরতা মাথায় রেখে সেই ম্যাচের টিকিট বিক্রি বন্ধ রেখেছে তামিল-নাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন।

প্রথম ম্যাচের আগেই কাবেরি নদীর পানি বন্টন ইস্যুতে দাবি উঠেছিল চেন্নাইতে আইপিএলের ম্যাচ না দেয়ার জন্য। সব ছাপিয়ে প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়ালেও, এখন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বাকি ম্যাচগুলো অন্য কোথাও সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার। তবে চেন্নাইয়ের জন্য নিজেদের হোম ম্যাচ ঘরের বাইরে খেলার অভিজ্ঞতা নতুন নয়। ২০১৪ সালের আসরে নিজেদের সবক’টি হোম ম্যাচ তারা খেলেছিল রাঁচিতে। চলমান অস্থিরতা না কমলে আবার হয়তো ২০১৪ সালেরই পুনরাবৃত্তি দেখবে চেন্নাই।

এসএএস/আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।