সারাজীবন নিজেকে অপরাধী মনে হবে : বেনক্রফট

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৪৮ পিএম, ২৯ মার্চ ২০১৮

বল টেম্পারিংয়ের মূল হোতা ডেভিড ওয়ার্নার। তার পরামর্শকে আমলে নিয়ে স্টিভেন স্মিথও রাজি হয়ে যান। অবশেষে দলের অন্যতম নীরিহ ক্রিকেটার ক্যামেরন বেনক্রফটকে দিয়ে করালেন বল বিকৃতি। অপারাধি তিনজনেই শাস্তি দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে স্মিথ-ওয়ার্নারকে। ৯ মাস নিষিদ্ধ বেনক্রফট। সঙ্গে স্মিথ পরবর্তী এক বছর এবং ওয়ার্নার আজীবনের জন্য নেতৃত্ব করা থেকে নিষিদ্ধ হলেন। শুধু তাই নয়, অপরাধি তিন ক্রিকেটারকে সঙ্গে সঙ্গেই ফিরিয়ে আনা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে।

দেশে ফেরার পরই মিডিয়ার মুখোমুখি হলেন হতাশায় মুষড়ে পড়া ক্যামেরন বেনক্রফট। সেখানেই তিনি জানালেন, ‘সারা জীবন এই ঘটনার দুঃখ বয়ে বেড়াতে হবে তাকে। সারা জীবনই নিজেকে মনে হবে অপরাধি এবং এ জন্য তিনি থাকবেন অনুতপ্ত।’

বল টেম্পারিং ঘটনায় জড়িয়ে মান-সম্মান সবই হারিয়েছেন। সমাজে চোখ দেখাতেও লজ্জা লাগবে। এ কারণে, বেনক্রফট বলেন, ‘হারানো সম্মান ফিরে পাওয়ার জন্য সত্যি সত্যি আমার সামনে এখন দীর্ঘ একটা পথ তৈরি হয়েছে। যদিও এটাই এখন আমার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

বল টেম্পারিয়ের মত অভিশপ্ত ঘটনা ঘটেছে তার হাত দিয়ে। এ কারণে বেনক্রফট যারপরনাই দুঃখিত। তিনি বলেন, ‘আমি সবার আগেই দুঃখ প্রকাশ করতে চাই। আই অ্যাম ভেরি স্যরি। এই অভিশপ্ত অপরাধ সারাজীবনই আমাকে যন্ত্রনা দিয়ে বেড়াবে। যা করেছি খুবই অল্প সময়ে। সবার কাছে এখন আমি ক্ষমাপ্রার্থী। চেষ্টা করবো, আমার ক্ষেত্রে ভালো কিছু অবদান রাখার জন্য।’

আগে-পরে কখনোই বল টেম্পারিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বেনক্রফট। সে কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই বল টেম্পারিং করিনি। এর সঙ্গে জড়িতও ছিলাম না। কারণ, এটা স্পষ্টভাবেই আমার মূল্যকে অনেক কমিয়ে দেবে। একজন খেলোয়াড় এবং মানুষ হিসেবে আমি যে জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি- পুরোটাই নষ্ট হয়ে যাবে এমন ঘটনায়। অথচ এমন একটি কাজ করে পুরো অস্ট্রেলিয়া এবং দেশের প্রতিটি মানুষের সম্মানকে আমি ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছি। এটার জন্য তো কোনোভাবেই গর্ব হতে পারে না। আমি অবশ্যই হারানো সম্মান ফিরে পেতে চাই।’

বেনক্রফট স্বীকার করেছেন, তিনি শিরিস কাগজ নিয়ে গিয়েছিলেন এবং এ নিয়ে প্রথমে মিথ্যা কথাও বলেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি মিথ্যাবাদী। আমি শিরিস কাহজ নিয়ে মিথ্যা বলেছি। যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তাতে আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এ জন্য আমি লজ্জিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। এখনও আমি অনুভব করছি, প্রতিটি অস্ট্রেলিয়ানের মাথা নিচু করে দিয়েছি আমি।’

আইএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।