আজ মানজারুল রানার ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৪৩ পিএম, ১৬ মার্চ ২০১৮

দেখতে দেখতে কেটে গেল ১১টি বছর। ২০০৭ সালের ১৬ মার্চ মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের উজ্জ্বল নক্ষত্র মানজারুল ইসলাম রানা। তার এমন অকাল প্রয়াণ নাড়িয়ে দিয়েছিল পুরো বাংলাদেশকে। টাইগার ক্রিকেটে অফুরন্ত সম্ভাবনা নিয়েই যে আগমণ ঘটেছিল প্রয়াত এই অলরাউন্ডারের।

১৯৮৪ সালের ৪ মে খুলনায় জন্ম মানজারুল রানার। ব্যাটে-বলে দারুণ সম্ভাবনাময় এক অলরাউন্ডার হিসেবেই ২০০৩ সালের নভেম্বরে জাতীয় দলে অভিষেক হয় তার। প্রথমে ওয়ানডে, তারপরের বছর টেস্ট দলেও জায়গা করে নেন প্রতিভাধর এই ক্রিকেটার। বাংলাদেশের পক্ষে ৬টি টেস্ট আর ২৫টি ওয়ানডে খেলেছেন তিনি।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০০৭ সালের এই দিনে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় মানজারুল রানাকে। তার সঙ্গে প্রাণ হারান খুলনারই আরেক উদীয়মান ক্রিকেটার সাজিদুল ইসলাম।

মানজারুলের এই আকস্মিক মৃত্যুর খবর শুনে ভীষণ মুষড়ে পড়েছিল জাতীয় দল। ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে তখন ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে টাইগাররা। পরের দিন ১৭ মার্চ ছিল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ।

তবে ওই শোকে ভেঙে পড়ার বদলে সেটাকে শক্তিতে পরিণত করেছিলো বাংলাদেশ। মানজারুলের সম্মানে জয় পেতে মরিয়া টাইগাররা সেদিন ভারতের মতো শক্তিশালী দলকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ থেকেই বিদায় করে দিয়েছিল।

এরপর থেকে এই দিনটিতে খেলা থাকলেই যেন অন্যরকম প্রেরণা নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। ২০১২ সালের ১৬ মার্চ এশিয়া কাপের ম্যাচটির কথা মনে আছে তো? শচিন টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরিতে টাইগারদের ২৯০ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েছিলো ভারত। অথচ সেটা ৫ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ।

আজ আরেকটি ১৬ মার্চ। বাংলাদেশের সামনে আরেকটি অর্জনের হাতছানি। কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিতলেই নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে উঠে যাবে টাইগাররা। আজও কি মানজারুল রানাকে হারানোর শোকটাকে শক্তিতে পরিণত করবেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহরা?

এমএমআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।