কাঁদলেন মাশরাফি

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৫১ পিএম, ০৪ মার্চ ২০১৮

মাশরাফি নিজে অনেকবারই বলেছেন, আমার কাছে দেশের একমাত্র হিরো হলো মুক্তিযোদ্ধারা। তারা জীবন দিয়েছেন। জীবন যাবে জেনেই ফ্রন্টে গেছেন দেশের জন্য। এবার স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ ক্রিকেটার জুয়েলের বীরত্ব গাঁথা গল্প শুনে চোখের পানি ধরে রাখতে পারলেন না বাংলাদেশের এই ওয়ানডে অধিনায়ক।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে যাত্রা শুরু করা ‘প্রজেক্ট লন্ডন-১৯৭১’ এর আয়োজনে ‘কুইজে একাত্তর’ শিরোনামের এক অনুষ্ঠানে শহীদ সন্তান ডা. নুজহাত চৌধুরী গল্প বলছিলেন শহীদ ক্রিকেটার জুয়েলের গল্প। মারকুটে এই ব্যাটসম্যান কীভাবে ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য হলেন, কীভাবে আশুগঞ্জ ব্রিজে অপারেশনে গেলেন। তখন মঞ্চে থাকা বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়কও ধরে রাখতে পারেননি অশ্রু।

অনুষ্ঠানে নুজহাত চৌধুরী ও তুহিনের ভাষণের পর মঞ্চে আসেন মাশরাফি; ক্ষুদে ভক্তদের হাতের সবগুলো মোবাইল তখন ব্যস্ত ভিডিও ধারণে। এ দৃশ্যে হতাশ মাশরাফি বলেন, ‘আমরা যে আয়োজনে এসেছি, সে আয়োজনে যারা বক্তব্য রাখলেন তাদের বক্তব্য আপনাদের মনে কোনো আবেগ সৃষ্টি করতে পেরেছে বলে মনে হয় না। সবাই এখন মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত। এটা বড় দুঃখজনক।’

মাশরাফি আরও বলেন, সব কিছুর ফাঁকে প্রতিদিন ১ ঘণ্টা সময় বের করতে পারব না, এটা কিন্তু আমরা বলতে পারব না। ১৫-২০ দিন টানা একটু একটু করে জানুন মুক্তিযুদ্ধকে। ইন্টারনেট থেকে তথ্য নিন। দেখবেন একদিন সবার মনে একটা আবেগের জায়গা তৈরি হয়েছে।

সবশেষে আসন্নে নিদাহাস ট্রফিতে বাংলাদেশ দলকে শুভ কামনা জানিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা সফরে ভালো করা কঠিন হলেও ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য রয়েছে বাংলাদেশের। আর যদি দুই-একটি ম্যাচ আমরা ভালো খেলতে পারি তবে দলটা অনেকটা নির্ভার হয়ে যাবে। তাদের প্রতি শুভ কামনা রইলো।’

এমআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।