কোহলির হাতে রাজদণ্ড এবং ১০ লাখ ডলার

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৫৯ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

এক বছরের পরিক্রমা শেষ হওয়ার কথা ৩ এপ্রিল; কিন্তু জোহানেসবার্গ টেস্টে অবিশ্বাস্যভাবে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে যেভাবে হারিয়েছে ভারত, তাতে বিরাট কোহলিদের এই সময়ের মধ্যে টেস্ট র্যাংকিংয়ে পেছনে ফেলার সাধ্য আর কারও নেই। সুতরাং, টানা দ্বিতীয় বছর আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের রাজদণ্ডটি পেয়ে গেলেন বিরাট কোহলি অ্যান্ড কোং। সঙ্গে ১০ লাখ ডলার।

ক্রিকেটের সবচেয়ে গৌরবময় ফরম্যাট টেস্টে আবারও চ্যাম্পিয়ন ভারত। র্যাংকিংয়ে ১২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে বিরাট কোহলি অ্যান্ড কোং। ১১৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ১০৪। গত বছরও একই ট্রফি এবং ১০ লাখ ডলারের অর্থমূল্য পুরস্কার পেয়েছিলো ভারত।

কেপ টাউনে টি-টোয়েন্টিতে জয় দিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষ হলো ভারতের। ৩ এপ্রিলের মধ্যে যেহেতু আর কোনো দল ভারতকে পেছনে ফেলার সম্ভাবনা নেই, এ কারণে সফর শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিরাট কোহলির হাতে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি এবং অর্থ পুরস্কার তুলে দেয়া হলো। আইসিসির তরফ থেকে কোহলির হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন আইসিসির হল অব ফেম সুনিল গাভাস্কার এবং গ্রায়েম পোলক।

গত বছরও আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফিটা তুলে ধরেছিলেন বিরাট কোহলি। অসাধারণ এই পুরস্কারটি জয়ের পর বিরাট বলেন, ‘পরপর দুই বছর এই পুরস্কার নিতে পারাটা ভারত অধিনায়ক হিসেবে আমার কাছে একটি বিশেষ মুর্হূত। আমরা যে সফল এটা হলো তার স্বীকৃতি। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। সার্পোর্টিং স্টাফরাও দারুণভাবে আমাদের সাহায্য করেছেন। আমরা এখন আসন্ন ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া সফরকে লক্ষ্য বানাতে চাই।’

jagonews24

বিরাট কোহলি ছাড়াও পরপর দু’বার এই রাজদণ্ড হাতে নেওয়ার কৃতিত্ব রয়েছে সাবেক ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির। ২০১০ এবং ২০১১ সালে ধোনির ভারত আইসিসি টেস্ট র্যাংকিংয়ে শীর্ষে থেকে এই স্মারক জিতেছিলেন। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের কৃতিত্ব গড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ ওয়াহ, রিকি পন্টিং, মাইকেল ক্লার্ক এবং স্টিভেন স্মিথ। ইংল্যান্ডের অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস, দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রায়েম স্মিথ ও হাশিম আমলা এবং পাকিস্তানের মিসবাহ-উল হক।

কোহলির আগেও দু’বার আইসিসি র্যাংকিংয়ের শীর্ষে ছিলো ভারত। একবার ২০১৬ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি এবং একই বছর আগস্টে। তবে লম্বা সময়ের জন্য শীর্ষে ছিল ২০০৯ সালের নভেম্বর থেকে ২০১১ সালের আগস্ট পর্যন্ত, মহেন্দ্র সিং ধোনির আমলে। আইসিসি প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন বলেন, ‘গত ১২ মাসে সত্যি সত্যি ভারত দারুণ টেস্ট ক্রিকেট খেলেছে। এ কারণে আমি তাদেরকে অভিনন্দন জানাতে চাই। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে বেশ কিছু স্মরণীয় ঘটনারও জন্ম দিয়েছে তারা।’

আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।