পুরনোদের উপর আস্থা রেখেই আজ-কালের মধ্যে দল ঘোষণা

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১২:৩৮ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

দেশের মাটিতে তিন জাতি টুর্নামেন্ট ও শ্রীলঙ্কার সাথে টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হয়েছে সপ্তাহ খানেক আগেই। দেখতে দেখতে কেটে গেল সময়। চলে আসলো শ্রীলঙ্কার মাটিতে আরেকটি তিন জাতি সিরিজ ‘নিদাহাস ট্রফি’। আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে কলম্বোয় বসবে ওই আসর, যেখানে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার সঙ্গে খেলবে বাংলাদেশ আর ভারত।

ঘরের মাঠে চরম ব্যর্থতার রেশ নিয়েই কলম্বো যেতে হচ্ছে টাইগারদের। শ্রীলঙ্কার সাথে তিন জাতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে রবিন লিগের ফিরতি ম্যাচ ও ফাইনালে নাজেহাল হওয়ার পর দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।

প্রশ্ন উঠেছে, সেই ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে ‘নিদাহাস ট্রফি’তে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বাংলাদেশ? নাকি সময়ের সেরা দল ভারত আর নতুনভাবে নিজেদের ফিরে পাওয়া শ্রীলঙ্কার কাছে আবারও পর্যদুস্ত হবেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহরা? মোদ্দা কথা, দেশের মাটিতে অনুজ্জ্বল পারফরম্যান্স আর ছন্নছাড়া অবস্থা কাটিয়ে শ্রীলঙ্কার মাটিতে বাংলাদেশের ভালো খেলা নিয়ে সংশয়-শঙ্কা সবার মনে।

বলার অপেক্ষা রাখে না, দেশের মাটিতে অনেক দিন পর খুবই বাজে ক্রিকেট খেলেছে টাইগাররা। এর সাথে ছিল, অদূরদর্শী দলগঠন ও প্রচুর রদবদল। অনুমান করা যায়, প্রধান চালিকাশক্তি সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতি দলের পারফরম্যান্স খারাপ হবার পেছনে রেখেছে বড় ভূমিকা। ব্যাট ও বল হাতে নির্ভরতার প্রতীক সাকিব 'টু ইন ওয়ান'। তার অভাব ও ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হয়নি।

টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ছিলেন না তামিম ইকবালও। এই দুজন শীর্ষ তারকার অনুপস্থিতিতে ব্যাটিং ও বোলিংয়ে দুর্বলতা থাকাতেই নির্বাচক ও টিম ম্যানেজম্যান্ট বিকল্প পথে হেঁটেছে। কিন্তু বিকল্প হিসেবে যাদের নেয়া হয়েছিল; সেই জাকির হোসেন, আফিফ হোসেন ধ্রুব, আরিফুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন ও মেহেদী হাসান নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি।

নবীনদের এই অনুজ্জ্বলতা, ব্যর্থতা নিয়েই রাজ্যের কথা-বার্তা। বলা হচ্ছে, সাকিব-তামিমের অনুপস্থিতিতে এতগুলো নতুন ক্রিকেটারকে না নিয়ে পুরনোদের উপর নির্ভর করলেই কি চলতো না? পারফরম্যান্সের আলোকে বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল অপু ছাড়া সব নবীনই ব্যর্থ। এই ব্যর্থতার দায়ভার যতটা তাদের, তার চেয়ে বেশি বর্তেছে টিম ম্যানেজম্যান্ট বা নির্বাচকদের কাঁধে।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, নিদাহাস ট্রফিতেও কি নতুনদের উপর নির্ভর করে দল সাজানো হবে? নাকি আবার পুরনোদের উপরই আস্থা রাখবে টিম ম্যানেজম্যান্ট ও নির্বাচক কমিটি? ভেতরের খবর, ঘরের মাটিতে এক ঝাঁক তরুণকে সুযোগ দিয়ে সমালোচিত ও নিন্দিত নির্বাচকরা আর ওই পথে হাঁটতে নারাজ।

শনিবার সকালে জাগো নিউজের সাথে আলাপে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদন নান্নুর অকপট স্বীকারোক্তি, ‘পরিবেশ-পরিস্থিতি যা, তাতে আর কোনো রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় যাওয়ার সুযোগ নেই। নিদাহাস ট্রফিতে আমরা সিনিয়র এবং প্রতিষ্ঠিত পারফরমারদের উপরই আস্থা রাখতে চাই।’

যদিও পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের অধীনে পেসাররা ২১ ফেব্রুয়ারি থেকেই অনুশীলন করে আসছেন। কিন্তু আসল প্রশিক্ষণ শুরু হবে কাল (রোববার) থেকে।

এদিকে, আজ সকালেই শেরে বাংলায় বিসিবি অফিসে দল নির্বাচন করতে বসেছিলেন দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমন। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জাগো নিউজকে বলেছেন, ‘আমরা আজই ১৫ জনের দল বোর্ডে জমা দিয়ে দেব। সেক্ষেত্রে বোর্ড সভাপতির অনুমোদন সাপেক্ষে আজ কিংবা কালকের মধ্যে দল ঘোষণা হবে।’

এআরবি/এমএমআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।