তাসকিন-রুবেলদের পেস বোলিং শেখাচ্ছেন ওয়ালশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:১৩ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বাংলাদেশের পেসাররা কী তবে পেস বোলিং ভুলে গেলেন! দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে শুরু করে সদ্য সমাপ্ত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজ- কোথাও পেসাররা নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছে না। পেসারদের বোলিংয়ের ধার বলতে কিছুই আর বাকি নেই। নখ-দন্তহীন বাঘে পরিণত হয়েছে যেন বাংলাদেশের পেসাররা। যে কারণে শ্রীলঙ্কার কাছে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল, টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজে খুব বাজেভাবে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশ দলকে।

শ্রীলঙ্কা ফিরে যাওয়ার পরদিনই বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজমেন্ট এবং কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারকে নিয়ে বৈঠক করেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সেখানেই তিনি বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশকে নির্দেশ দেন, পেসারদের নিয়ে স্পেশাল ট্রেনিং ক্যাম্প পরিচালনা করতে। সামনে শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফির খেলা। সে টুর্নামেন্ট থেকেই যেন পেসারদের পারফরম্যান্সে উন্নতি হয়, সে লক্ষ্যে এখনই প্রস্তুতি নেয়া শুরু করতে হবে।

বোর্ড প্রদানের নির্দেশ পেয়েই কাজে নেমে পড়েন কোর্টনি ওয়ালশ। ১৪জন পেসারকে তিনি ডাকলেন স্পেশাল ট্রেনিং ক্যাম্পে। আজ (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয়েছে ক্রিকেটারদের এই ট্রেনিং ক্যাম্প। বিসিবি একাডেমি মাঠে ১৪ পেসারের সঙ্গে রয়েছেন ৫ ব্যাসম্যান। মূলতঃ ফোকসটা পেসারদের দিকেই।

৯ দিনের এই স্পেশাল ট্রেনিং ক্যাম্প চলবে ৩ মার্চ পর্যন্ত। পুরো ক্যাম্পেই থাকবে পেসারদের স্কিল প্রশিক্ষণ। মূলতঃ ক্যারিবীয় কিংবদন্তি পেসার কোর্টনি ওয়ালশের কাছ থেকে নতুন করে পেস বোলিংয়ের শিক্ষা নিচ্ছেন তাসকিন-রুবেলসহ বাংলাদেশের ১৪ পেসার। তবে, ভাবলে ভুল করবেন যে, এই ক্যাম্পে কেবলই গতি বাড়ানো এবং কিভাবে বাউন্সার দিতে হবে তা শেখাচ্ছেন কোচ ওয়ালশ।

আজ তিনি নিজেই জানিয়েছেন, গতি কিংবা বাউন্স নয়, আমাদের পেসারদের নিজেদের সামর্থ্য এবং দক্ষতাকে কিভাবে সর্বোচ্চ ব্যবহার করা যায় সেটাই শেখাচ্ছি এই বিশেষ ট্রেনিংয়ে। মূলতঃ বোলারদের সবকিছু স্বাভাবিক রেখেই পারফরম্যান্সে উন্নতি ঘটানোর লক্ষ্য ওয়ালশের।

তিনি বলেন, ‘বোলারদের মানসিক দিক নিয়ে কাজ করা হচ্ছে ক্যাম্পে। ওরা নিজেদের ক্ষমতা জানে এবং স্বাভাবিকভাবে যা হয়, সেটাই করছে। আমার মতে, শেষ সিরিজে এটাই করতে পারেনি। পেসাররা একটু বেশিই বাড়তি কিছু করতে চেয়েছে। ওদের জানতে হবে, কোন পরিস্থিতিতে কী করা প্রয়োজন এবং সেটা কীভাবে করতে হবে। যদি ধারাবাহিকতা আনতে পারে, তবে ১০ বারের মধ্যে আটবারই ফল নিজেদের পক্ষে আসবে। আমরা চেষ্টা করছি, ওদের ধারাবাহিক বানাতে এবং শান্ত থেকে কোনো কিছু করা শেখাতে।’

বিশেষ এই প্রশিক্ষণ শিবির আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে ওয়ালশ বলেন, ‘ধারাবাহিকতার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। গত কিছুদিন যতটা উচিত ছিল, তেমন বল করতে পারেনি। এ ক্যাম্পে সেখানেই দৃষ্টি দেওয়া হচ্ছে। সামনে কার কী ভূমিকা থাকবে, এটা বুঝতে হবে ওদের। এ ক্যাম্পে ফাস্ট বোলিং কী, সেটাও শেখানো হচ্ছে। এর জন্য কত কঠোর পরিশ্রম করতে হয়, সেটা জানানো হচ্ছে।’

আইএইচএস/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।