কোহলিকে দেখে শিখছেন স্মিথ

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:১৮ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ক্যারিয়ারের শুরুতে ছিলেন মূলতঃ স্পিনার। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে নিজের খোলনলচে পুরোপুরি বদলে ফেলেছেন স্টিভেন স্মিথ। এখন তিনি টেস্টের এক নম্বর ব্যাটসম্যান! বিশ্বসেরা হওয়ায় এই অভিযাত্রায় রয়েছে অনেকের অনেক অবদান- বিষয়টা মেনে নিচ্ছেন সাম্প্রতিককালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ।

সময়ের আরেক সেরা ব্যাটসম্যান ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তিনি যেন রান মেশিন। ব্যাট হাতে মাঠে নামবেন তো, সেঞ্চুরি যেন অবধারিত। স্মিথের সঙ্গেই প্রতিমুহূর্তেই তুলনা চলছে কোহলির। ছায়াযুদ্ধও বলা যেতে পারে একে। কোহলি শতরান হাঁকালে মাপকাঠি হিসেবে স্মিথের সঙ্গে তুলনা টানছে ক্রিকেট বিশ্ব। টেস্টে স্মিথ এক নম্বরে আর কোহলি দুই নম্বরে। ওয়ানডে ফরম্যাটে আবার শীর্ষে কোহলি। সেখানে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন স্মিথ (তালিকার ১৭ নম্বরে)।

তবে বিশ্ব ক্রিকেট দু’জনের মধ্যে যতই তুলনা আর প্রতিদ্বন্দ্বীতা তৈরি করুক, স্মিথ কিন্তু বিরাট কোহলিকেই গুরু মেনে নিচ্ছেন। স্পিন কিভাবে খেলতে হয়, সেটা তিনি জেনে নিচ্ছেন কোহলির কাছ থেকেই। অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক বলেন, ‘কোহলি আমার অন্যতম ব্যাটিং সোর্স। ওর কাছ থেকে অনেক টেকনিক আমি রপ্ত করি। বিশেষ করে স্পিন খেলাটা কোহলি থেকে শেখার চেষ্টা করি।’

বিশ্ব ক্রিকেটে বর্তমান যুগে দাপট দেখিয়ে চলেছেন চার তরুণ অধিনায়ক। বিরাট কোহালি, স্টিভেন স্মিথ, জো রুট এবং কেন উইলিয়ামসন। তাদের মধ্যে স্মিথ জানিয়ে দিলেন, বাকি তিন জনের কাছ থেকেই তিনি কিছু না কিছু শিক্ষা পেয়েছেন। স্মিথ বলেন, ‘বিশ্বের প্রত্যেক ব্যাটসম্যানের ব্যাটিং আমি দেখি। প্রত্যেকের থেকেই কিছু না কিছু শেখার চেষ্টা করি।’

দক্ষিণ আফ্রিকায় সফররত স্মিথ বলেন, ‘বিরাট কীভাবে স্পিনারকে খেলে, তা আমি খুব মন দিয়ে লক্ষ্য করি। স্পিনারকে খেলার সময় আমার কব্জির মোচড় থেকে শুরু করে ফুটওয়ার্ক, অনেকটাই বিরাটকে দেখেই শেখা।’

এশিয়ার উইকেটে খেলার সময় নিজের টেকনিকেও অনেক বদল আনতে হয়েছে স্মিথকে। যা নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘ভারতে বল কম বাউন্স করার কারণে ব্যাটের কানায় লাগার সম্ভাবনা কমে যায়। তাই বাইরের বল তাড়া করতেও বেশি অসুবিধে হয় না। অস্ট্রেলিয়া অথবা দক্ষিণ আফ্রিকায় যা সত্যিই অসম্ভব।’

আইএইচএস/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।