কাল সকালে দ্রুত ২/৩ উইকেটের আশায় বাংলাদেশ

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:২২ পিএম, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

চট্টগ্রাম টেস্টে কোথায় দাড়িয়ে বাংলাদেশ? মুমিনুল-মুশফিক আর তামিম ও ইমরুল কায়েসের সাজানো মজবুত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে প্রথম দিনই রান প্রায় পৌনে চারশো ‘তে (৩৭৪/৪) গিয়ে ঠেকলে মনে হচ্ছিলো স্কোর ৬০০ ছাড়িয়ে যাবে। মাঝখানে ছোট্ট একটি মড়ক লাগায় তা হয়নি। তারপরও মাহমুদউল্লাহর দল গিয়ে থামে ৫১৩ রানে।

তখন সেটাকেই মনে হচ্ছিলো বড় পুঁজি। বাংলাদেশ ভক্ত ও সমর্থকদের বড় অংশের ধারণা ছিল প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকতে ওই রানই হবে যথেষ্ঠ; কিন্তু হায়! আজ তৃতীয় দিন শেষে দেখা গেল ওই ৫০০‘র বেশি রানও যে কম!

লঙ্কানরা মাত্র ৪ উইকেট খুইয়েই পৌঁছে গেছে বাংলাদেশের রানের খুব কাছে। তৃতীয় দিন শেষে তাদের স্কোর ৩ উইকেট হারিয়ে ৫০৪। মানে এখনও ৭ উইকেট হাতে তাদের। আর মাত্র ৯ রান পিছনে থেকে কাল চতুর্থ দিন ব্যাট হাতে নামবেন দুই লঙ্কান ব্যাটসম্যান রোশেন সিলভা ও দিনেশ চান্ডিমাল।

দ্বিতীয় দিন সকালে রঙ্গনা হেরাথের হাত ধরে চান্ডিমালের দল মাহমুদউল্লাহ বাহিনীর ব্যাটিংকে যে ঝাঁকুনি দিয়েছিল, শনিবার সকালে বা প্রথম ঘণ্টায় স্বাগতিক বোলাররা মানে মোস্তাফিজ, তাইজুল, মিরাজ ও সানজামুলরা দ্রুত ২/৩ উইকেটের পতন ঘটাতে না পারলে নির্ঘাত ১০০ থেকে ১৫০ রান কিংবা তারও বেশি ব্যবধানে পিছিয়ে পড়তে হবে বাংলাদেশকে। এখন পর্যন্ত উইকেট ভালই আছে; কিন্তু চতুর্থ দিন দ্বিতীয় ও শেষ সেশনের তার অবস্থা কি দাঁড়াবে? তা নিয়ে আছে রাজ্যের সংশয়।

তাই খালি চোখে দুই দলের অবস্থান খুব কাছাকাছি মনে হলেও আপাততঃ লঙ্কানরাই স্বস্তিতে। এবং তাদের সামনে অবস্থান মজবুত করে স্বাগতিকদের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দেয়ার সুযোগও আছে।

কেউ কেউ তাই ভাবছেন, টেস্টের নিয়ন্ত্রন এখন শ্রীলঙ্কার হাতে। তবে কি ভাবছে টিম বাংলাদেশ? ড্রেসিং রুমের অবস্থাই বা কি? কোন মানসিক চাপ কি গ্রাস করেছে ক্রিকেটারদের মধ্যে?

তবে আশার কথা, টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের কথা যদি টিম বাংলাদেশের ভিতরের চিন্তার বহিঃপ্রকাশ হয়, তাহলে মনে করতে হবে বাংলাদেশ শিবির চিন্তিত নয়। তারা ধরেই নিয়েছে লঙ্কানরা প্রথম ইনিংসে লিড নিবে। তারা এখন যতটা সম্ভব দ্রুত সময় ও কম রানে লঙ্কানদের বেঁধে ফেলতে বদ্ধপরিকর। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে এসে খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়ে গেলেন, এখন অবশ্যই শ্রীলঙ্কা ভালো অবস্থানে আছে। তবেই এর মানে এই নয়ে বাংলাদেশও ভাল জায়গায় যেতে পারবে না, কিংবা এখনি খুব খারাপ অবস্থায় আছে।

তারপরও খালেদ মাহমুদ মানছেন, ‘লঙ্কানরা ভালো অবস্থানে আছে এটা বলতেই হবে। যেহেতু এখনও ৭ উইকেট আছে ওদের হাতে। খেলা ২ দিন বাকি। তবে যেটা বললাম, উইকেট এখনও ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো আছে। দ্বিতীয় ইনিংসে আমাদের ভালো ব্যাট করতে হবে। কত দ্রুত ওদের অলআউট করতে পারি, সেটা গুরুত্বপূর্ণ । কাল প্রথম ঘণ্টায় ২-৩টা উইকেট নিতে পারলে হয়ত আমরা নিয়ন্ত্রণে ফিরতে পারব। কালকে কত দ্রুত ওদের অলআউট করতে পারি, লঙ্কানদের লিডটা কত বড় হয়, সেটা সবচেয়ে বড় কথা হবে।’

তা দেখেই আসলে নিজেদের পরবর্তী করণীয় ঠিক করার কথা ভাবছেন বাংলাদেশের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর। তাই তো দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংটা খুব ভাল করতে মুখিয়ে আছেন তিনি। খালেদ মাহমুদের ধারনা ও বিশ্বাস, উইকেট এখনো বেশ ভাল আছে। সে কারণে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েনি বাংলাদেশ। বরং তার ধারনা, এখনো খেলা ওপেন আছে।

‘উইকেট যদিও ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো আছে। ম্যাচও এখনো উন্মুক্ত আছে বলেই আমি মনে করি। পাশাপাশি আমাদের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং অনেক ভালো করতে হবে। আশা করি কাল সকাল থেকে ভালো বোলিং করব আমরা। আজকে শেষ সেশনটা ভালোই ছিল। খুব বেশি রান করতে দেইনি ওদের। কালকে সকালে উইকেট কেমন থাকে সেটা একটা বড় ব্যাপার। আমি বিশ্বাস করি, খুব খারাপ এখনও হয়নি।’

এআরবি/আইএইচএস/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।