ফাইনাল জিততে উদগ্রীব হয়ে আছেন মাশরাফি
জয়ের স্মৃতি কম নেই বাংলাদেশের। শতাধিক ওয়ানডে ম্যাচে জিতেছে বাংলাদেশ। টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টিতেও জয়ের সংখ্যা অনেক। এমনও বেশ কয়েকটি সিরিজ ছিল, যেটার শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। সব ধরনের জয়ের অভিজ্ঞতাই হয়েছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের; কিন্তু একটি জয় ধরা দেয়নি টিম বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের হাতে। একটি জয়ের স্বাদ এখনও নিতে পারেনি টাইগার ক্রিকেটাররা। সেটি হলো ফাইনাল- একটি ফাইনাল জিতে এখনও কোনো শিরোপা হাতে তুলে নিতে পারেনি বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেট দল।
ঘরের মাঠে চতুর্থবারেরমত ত্রিদেশীয় কিংবা তারও অধিক কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলো বাংলাদেশ। আগের তিনবারের অভিজ্ঞতা এবার আর গ্রহণ করতে চায় না ক্রিকেটাররা। এবার তারা উদগ্রীব হয়ে আছে, ফাইনাল জয়ের জন্য। অধিনায়ক মাশরাফির বক্তব্যেই ফুটে উঠলো এমন কথা।
ফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এর আগে তো দ্বিপাক্ষিক সিরিজের অনেক ডিসাইডার ম্যাচ জিতেছেন। কিন্তু ফাইনাল জেতেননি। এবারও ফাইনাল। লক্ষ্য কী?
জবাবে মাশরাফি বলেন, ‘ ফাইনাল ম্যাচে জেতার জন্য আমরা উদগ্রীব হয়ে আছি। এটা সত্যি কথা। প্রথমবারের মতো হবে, যদি হতে (জিততে) পারি।’
তবে মাশরাফির মতে এ নিয়ে একটু সতর্ক হওয়া খুব জরুরী। কারণ, এসব নিয়ে চিন্তা করলে চাপ বেড়ে যাবে। মাশরাফি বলেন, ‘তবে এটা হওয়ার আগ পর্যন্ত (ফাইনালে জেতা) বেশি চিন্তা করলে চাপ এসে দাঁড়ায়। ফাইনাল ম্যাচে চাপ থাকেই। কাল (আগের ম্যাচে) জিতলেও থাকত।’
মাশরাফির মতে, আগের ম্যাচে হারাটা বরং ভালোই হয়েছে। কারণ, এ কারণে চাপ অনেক কমে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় কালকে (আগের ম্যাচে) হারাতে চাপটা আরও কমে যাওয়ার কথা। কাজেই একটা চাপ থাকে, ওটা থাকবেই। সব কিছু নির্ভর করছে, কেমন শুরু করব ওটার উপর। কাল প্রথম ১০ ওভারেই কিন্তু খেলা ওদের দিকে চলে গিয়েছিল, যেখান থেকে আমরা ফিরে আসতে পারিনি। এমন পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয়, বুদ্ধি করে যেন খেলতে পারি। এই পরিস্থিতিগুলা হেন্ডেল করাটাই কঠিন হবে। যারা নার্ভ হেন্ডেল করবে তারাই এগিয়ে থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলনে ঘুরে-ফিরে আগের ম্যাচে হারের কথাই সবচেয়ে বেশি আলোচিত হলো। মাশরাফির সামনে তুলে ধরা হলো, এই শ্রীলঙ্কা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। রিদম ফিরে পেয়েছে। এটা তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ কি না?
জবাবে মাশরাফি বলেন, ‘ওয়ানডে ম্যাচে যেটা হয়, আপনাকে কম্ফোর্টেবল জোনে রান নিয়ে যেতে হয়। বোলিং করলে সেটাও কম্ফোর্টেবল জোনে রাখতে হয়। কালকে যেটা হইছে সেটা তো অপ্রত্যাশিত। ৮০ রান আপনি প্রত্যাশাই করতে পারেন না। আমরা চাই একটি স্বস্তির জায়গায় থাকতে। অন্তত যে ফাইট করা যায়। সেই জায়গায় থাকলে আমরা ভাল খেলতে পারব। সব নির্ভর করছে আমরা শুরুটা কেমন করি। যেহেতু ওরা কাল শুরুতে আর্লি উইকেট পেয়েছে, রান আউট হয়েছে। রান আউট অনেক বড় ফ্যাক্টর ছিল। আমরা চাই না যে কাল এই জিনিসগুলা হোক।’
আইএইচএস/আইআই