মোস্তাফিজের বোলিং দেখে খুশি সাকিবও
প্রথম ১০ ওয়ানডে ম্যাচে ২৮ উইকেট। তিন তিনবার ৫ বা তার বেশি উইকেট শিকার। আর শেষ ১০ ম্যাচে উইকেট মোটে ১৩টি। কোনো ম্যাচে ৫ উইকেট নেই। এক ম্যাচে সর্বাধিক উইকেট চারটি। তাও কোন প্রতিষ্ঠিত দলের বিপক্ষে নয়। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে (২০১৭ সালের ১৯ মে ডাবলিনে ৪/২৩)।
এর মধ্যে শেষ ছয় ম্যাচে তিনবার উইকেটশূন্য। এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে মোস্তাফিজুর রহমানের ছন্দপতনের কথা। অতিবড় ভক্তও মোস্তাফিজের বোলিং দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। তবে কি আল আমিন, নাজমুলের মত অমিত সম্ভাবনার মোস্তাফিজও দিনকে দিন অন্ধকারে তলিয়ে যাবেন?
অবশেষে আজ মোস্তাফিজ ভক্তদের মুখে হাসি। হোক দূর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, তারপরও মোস্তাফিজ বেশ ভাল বোলিং করেছেন। উইকেট যদিও দুটি (২৯ রানে); কিন্তু তার বলে ধার ছিল। বার বার জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানরা বিভ্রান্ত হয়েছেন। তাদের পরাস্ত করেছেন কাটার মাস্টার। তার বোলিংয়ের উচ্চসিত প্রশংসা করেছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমার। বলেছেন, ‘মোস্তাফিজ বিশ্বমানের বোলার। তার স্লোয়ার তো বোঝা বেশ কঠিন।’
মোস্তাফিজের বোলিং মনে ধরেছে সাকিব আল হাসানের। সাকিব মনে করেন, মোস্তাফিজ এ ম্যাচে বেশ ভাল বল করেছে। ইনজুরি কাটিয়ে মোস্তাফিজ সে অর্থে নিজেকে ফিরে পাননি, সাকিব এমন মানতে নারাজ। তার অনভুব, ‘মোস্তাফিজ কখনো খারাপ বল করেনি।’
আজ খেলা শেষে মোস্তাফিজের বোলিং নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সাকিবের ব্যাখ্যা, ‘দেখেন আমার কাছে মনে হয় না যে ও কখনও খুব খারাপ বোলিং করেছে। কিছু ম্যাচ হয়তো উইকেট পায়নি। আমরা যেমনটা ভাবি যে, ও সবসময় আমাদের উইকেট এনে দেবে। কোনো বোলার বা কোন মানুষের পক্ষে সেটা সম্ভব নয়। সুতরাং, দুয়েকটা ম্যাচ হয়তো এদিক ওদিক হবে; কিন্তু ওভারঅল আমি মনে করি মোস্তাফিজ কখনই খুব একটা খারাপ অবস্থায় ছিল না; কিন্তু এখন হয়তো আরও ভালো অবস্থায় আসছে। সে অনেক কষ্ট করেছে। বেশকিছু জিনিস নিয়েও কাজ করছে বলে আমার মনে হয়। আর আজকে ওর বোলিং দেখে আমি সন্তুষ্ট।’
এআরবি/আইএইচএস/আরআইপি