দুই দিনের বিশ্রামে মাশরাফি-তামিমরা
ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরুর বাকি আর মাত্র ৪ দিন। গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত কঠোর ও নিবিড় অনুশীলনে ব্যস্ত ছিল টিম বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে আট বছর পর ত্রিদেশীয় ক্রিকেট। তাতে ফেভারিটের তকমা নিয়ে নামবে মাশরাফির দল। সেই লক্ষ্যেই চলছে জোর প্রস্তুতি।
এদিকে টানা বেশ ক'দিন অনুশীলনের পর ক্রিকেটারদের দু'দিনের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার ক্রিকেটারদের ছুটি। জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জাতীয় দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সুজন জানান, ‘শনিবার দুপুর থেকে আবারও পুরোদমে শুরু হবে অনুশীলন। মূল আসরে নামার আগে ক্রিকেটারদের চাঙ্গা রাখতেই এ দুই দিন বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে।’
জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কাকে টপকে ফাইনাল খেলতেই নিজেদের তৈরি করে নিচ্ছেন মাশরাফি-তামিমরা। প্রথমে সপ্তাহ খানেক ফিটনেস অনুশীলন, তারপর ব্যাট-বলের অনুশীলন চলছে নিয়মিতই। খেলা হবে দিবা-রাত্রিতে। তবে পৌষ-মাঘের হিমশীতল আবহাওয়া কনকনে বাতাস ও ঘন কুয়াশা- এসবের সঙ্গে মানিয়ে নিতেই শেষ কয়েকদিন অনুশীলন হয়েছে পরন্ত বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সুজন আরও জানিয়েছেন, ‘আমরা আবহাওয়া, কুয়াশা ও শিবিরস্নাত আউটফিল্ড, সবকিছু মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নেওয়ার চেষ্টা করছি। যদিও খেলা শুরু হবে বেলা ১২ টায়। কিন্তু এক ইনিংস শেষেই শীত জেকে বসে। সন্ধ্যা নামতেই ঘন কুয়াশা পড়তে থাকে। সন্ধ্যার পর কুয়াশা আর শিশিরে ফিজে যায় আউট ফিল্ড। তাতে স্পিনারদের বল গ্রিপিংয়ে যেমন সমস্যা হয়, তেমনি ব্যাটসম্যানদেরও কিছু অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়। বল স্কিড করে, প্রত্যাশার চেয়ে বল জোরে চলে আসে, এটাও একটা প্রতিবন্ধকতা, এসব মাথায় রেখেই আমরা কয়েকদিন সন্ধ্যায় অনুশীলন করেছি।’
এবারের ত্রি-দেশীয় ক্রিকেটে সাফল্য জরুরী টাইগারদের। প্রথম কারণ, দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে শেষ সিরিজের বিপর্যয় কাটিয়ে আবার আলোয় ফেরা। দ্বিতীয়তঃ ঘরের মাঠে ওয়ানডেতে সাফল্য অব্যাহত রাখা। আর সর্বোপরি কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে একটা বড় জবাব দেয়া- সব মিলিয়ে একটা অন্যরকম চ্যালেঞ্জ টাইগারদের সামনে।
এমআর/পিআর