স্লোয়ারের পাশাপাশি রিভার্স সুইংয়েও মনোযোগী রাজু
অবিস্মরণীয় ও ঐতিহাসিক অভিষেকের পর শুধু টেস্ট দলেই নয়, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও দলে আসন পাকা করা সম্ভব হয়নি তার। এখনো আসা-যাওয়ার মধ্যেই রয়েছেন পেসার আবুল হাসান রাজু। কেন এমন অবস্থা তার?
কি সেই কারণ, যাতে কোন ফরম্যাটেই নিজের অপরিহার্যতার প্রমাণ দিতে পারেননি? রাজুর মনে হয়, ইনজুরিই তার জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়ার বড় কারণ। মঙ্গলবার বিকেলে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে এমন প্রশ্নের সম্মুখিন হলে ব্যাখ্যা দেন রাজু।
তিনি বলেন, ‘কারণ হচ্ছে ইনজুরি। কি আর বলবো, আমি আসলে ইনজুরির কারণে তিন বছর প্রায় আউট অব ক্রিকেট ছিলাম। আল্লাহর রহমতে এখন সবকিছু ওভারকাম করেছি। দেখি এখন কী হয়। আবার এখানে এসেছি। নিজেকে প্রমাণ করার এটাই সময়।’
মাঝের এ সময়টায় তার ব্যাটিংয়ে উন্নতি হয়েছে। ৬ জানুয়ারি একটা প্রস্তুতি ম্যাচেও নিচের দিকে নেমে ১৯ বলে ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে সে সত্যই জানান দিয়েছেন তিনি। ব্যাটিং নিয়ে তার কথা, ‘ভাই আসলে এটা কঠিন জিনিস। বোলিং করার পর যতটুকু সময় পাই, রিহ্যাব করতে হয় বা ব্যাটিংয়ে সময় দিতে হয়। তারপরও যতটুকু সময় পাই ব্যাটিংয়ে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি।’
আপনার ব্যাটিংয়ে যেমন উন্নতি হয়েছে, বোলিংয়ে কি ততটা হয়নি? রাজুর দাবি, বোলিংয়েও উন্নতি হয়েছে। তাই তার আত্মবিশ্বাসী সংলাপ, ‘ডেফিনেটলি। ধরেন এখন যে আমরা স্কিলগুলো করছি, আগে সেগুলো করতে পারলে আরও উন্নতি হতো আমাদের। অ্যাক্সাক্টলি, এখন সবকিছু পারফেক্ট হচ্ছে। আই অ্যাম কনফিডেন্ট। অবশ্যই দলে নিয়মিত হতে চাই। ইনশাল্লাহ দেখি কি হয়।’
তার স্লোয়ারের খ্যাতি পুরনো। ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে প্রথম দুই বছর শুধু গতির বৈচিত্র্য এনে স্লো ডেলিভারিতে অনেক উইকেট পেয়েছেন রাজু। এবারের বিপিএলেও তা দেখা গেছে। অনেক সেট ব্যাটসম্যানও ইনিংসের মাঝামাঝি রাজুর স্লোয়ার ঠিকমত বুঝতে না পেরে আউট হয়েছেন। এর পাশাপাশি এবার রিভার্স সুইংও রপ্ত করার কথা জানালেন রাজু।
কিন্তু রিভার্স সুইংয়ের অন্যতম পূর্বশর্ত হলো গতি। রাজুর বলে গতি কম। তাসকিন-রুবেলদের মত নয়। বাড়তি গতি ছাড়া রিভার্স সুইং যথাযথ হয় না তেমন। হলেও তার কার্যকরিতা থাকে কম। এই মাঝারি গতি দিয়ে কি রির্ভার্স সুইং করানো সম্ভব?
এমন প্রশ্নও উঠলো। রাজুর ইতিবাচক জবাব, ‘সবকিছুর মেইন অস্ত্র হলো স্ট্রেংথ। ওয়াকার ইউনুস আমাকে একটি কথাই বলেছেন, জাস্ট মেইনটেইন কর। বোলিং করতে থাকো। হয়ে যাবে। হ্যাঁ, কিছুতো পার্থক্য আছেই। বল ধরার মধ্যে কিংবা ইয়ের (বোলিং কারুকাজে) মধ্যে।’
এআরবি/আইএইচএস/আইআই