হাসপাতাল ফেরত রুটও বাঁচাতে পারলেন না ইংল্যান্ডকে

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪৭ এএম, ০৮ জানুয়ারি ২০১৮

মেলবোর্নের চতুর্থ টেস্টের পিচটাকে বাড়তি একটা ধন্যবাদ দিতেই পারে ইংল্যান্ড। ওই টেস্টের ড্রতেই যে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় পড়তে হলো না সফরকারিদের। সিডনিতে পঞ্চম ও শেষ টেস্টে তাদের এক ইনিংস এবং ১২৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে মর্যাদার অ্যাশেজ সিরিজটা ৪-০ ব্যবধানে জিতেছে স্টিভেন স্মিথের অস্ট্রেলিয়া।

২৫ দিনের ক্রিকেট লড়াই শেষ হলো জশ হ্যাজলউডের এক বাউন্সারে। যে বাউন্সার সামলাতে না পেরে জেমস অ্যান্ডারসন ক্যাচ তুলে দিলেন বাতাসে। তখনও একটি উইকেট হাতে ছিল ইংল্যান্ডের। কিন্তু অ্যাশেজ জয়ের বাঁধভাঙা উদযাপন শুরু করে দেয় অস্ট্রেলিয়া!

উইকেট থাকলে কি হবে? জো রুটের তখন আর ব্যাটিংয়ে নামার মতো শারীরিক অবস্থা ছিল না। আগের রাত হাসপাতালে কাটানো ইংলিশ অধিনায়ক দলকে বাঁচাতে প্রাণপন চেষ্টা করেছেন। অসুস্থতা এতটাই ঘিরে ধরেছিল, ব্যাটিংয়ের সময় দুই দুইবার ড্রেসিংরুমে ফিরে গেছেন তিনি। শেষতক লড়াইয়ে ক্ষান্তি দিলেও ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রুটই (৫৮ আহত অবসর)।

ইংলিশদের জয়ের সুযোগ ছিল না। একমাত্র পথ ছিল, শেষদিনে মাটি কামড়ে পড়ে থাকা। সেই চেষ্টাটা করেছেন রুট, জনি বেয়ারস্টো। ৪ উইকেটে ৯৩ রান নিয়ে খেলতে নামা সফরকারিরা প্রথম সেশনে কেবল হারিয়েছিল মঈন আলীর (১৩) উইকেটটি।

তবে ৫ উইকেটে ১৪৪ রান নিয়ে লাঞ্চে যাওয়া ইংল্যান্ড বিরতির পর আর অস্ট্রেলিয়ার বোলিং তোপ সামলে উঠতে পারেনি। ওই রানেই প্যাট কামিন্সের শিকার হয়েছেন বেয়ারস্টো (৩৮)। এরপর লেজ ছেঁটে দিতে আর বেশি সময় নেননি অজি পেসাররা। ৮৮.১ ওভারে ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ১৮০ রানে। ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন টম কুরান।

প্যাট কামিন্স ৩৯ রানে ৪টি, নাথান লায়ন নিয়েছেন ৩টি উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক আর জশ হ্যাজলউড।

ইংল্যান্ড সিরিজটা বড় ব্যবধানে হারলেও এবার লড়াই করেছে বেশ। ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমের পর এবারই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সবগুলো টেস্ট পাঁচদিন পর্যন্ত টেনে নিতে পেরেছে তারা।

এমএমআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।