কেপটাউনের উইকেট নিয়ে চিন্তায় বিরাট কোহলিরা

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৬ এএম, ০২ জানুয়ারি ২০১৮

কেপ টাউনে আর মাত্র তিনদিন পর শুরু হবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের জমজমাট টেস্ট সিরিজ। প্রথম টেস্টের ভেন্যু নিউজিল্যান্ডসের উইকেট ঠিক কেমন হবে, এই নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। নিউল্যান্ডসের উইকেট নিয়েই এখন যত চিন্তা বিরাট কোহলিদের।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট খেলতে ভারত মাঠে নামছে ৫ জানুয়ারি থেকে। এর আগে স্বাগতিক দলের মন মত উইকেট তৈরিতে সমস্যায় পড়েছেন কিউরেটররা। এর অন্যতম কারণ, কেপ টাউনে চলা খরা। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা যে ধরনের উইকেট চান, অর্থাৎ বাউন্সে ভরা শক্ত পিচ, সে রকম নাকি এখনও বানানো সম্ভব হচ্ছে না। বরং বৃষ্টি না হওয়ার ফলে পিচ অনেকটা শুকনো দেখাচ্ছে। যা আবার ভারতীয় স্পিনারদের সাহায্য করতে পারে।

তবে স্বাগতিক পেসারদের জন্য সুখবর হচ্ছে, বিদায়ী বছরের শেষ দিন ঠিকই বৃষ্টি হয়েছে। এমনকি মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে সেখানে। যদিও ওয়েস্টার্ন কেপের বাসিন্দারা জানেন, এই বৃষ্টি খুব বেশি যথেষ্ট নয়। যেটুকু প্রয়োজন, এই বৃষ্টি তার চেয়ে অনেক বেশি অপ্রতুল। শতবর্ষের ইতিহাস বলে, এটাই সত্যি। বরং, স্বাগতিকদের জন্য আরও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

নিউল্যান্ডসের গ্রাউন্ডসম্যান ইভান ফ্লিন্ট বলেছেন, ‘উইকেটে আমরা পানি দিচ্ছি ঠিকই; কিন্তু কত দূর কী হবে বলা কঠিন। তার ওপর বৃষ্টি না হওয়ায় আউটফিল্ডও শুকনো হয়ে যাচ্ছে। আমরা নিশ্চিত করতে চাই, যেন পিচে বল বেশি টার্ন না করে। এরজন্য দরকার সকালের দিকে বৃষ্টি আর বিকেলের দিকে রোদ।’

রোববার সকালে বৃষ্টি হলেও ফ্লিন্ট নিশ্চিত নন, কতদিন এমন আবহাওয়া পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না, এ রকম আবহাওয়া কতদিন পাব। আমরা উইকেটে হাল্কা ঘাস রাখতে চাই। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি উইকেট শক্ত রাখার।’

এমন পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত আসলে উইকেট কেমন হচ্ছে, উইকেটের আচরণই বা কেমন হবে, তা নিয়ে চিন্তিত ভারতীয় শিবির। উইকেটের অবস্থা এখন যা, তেমন হলে তো কথাই নেই। ভারতীয় স্পিনারদের জন্য পোয়াবারো। কিন্তু যদি পেস বান্ধব উইকেট তৈরি হয়ে যায়, তাহলে তো প্রোটিয়াদের মাটিতে ২৫ বছর পর টেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখাটাই হয়ে যাবে ভারতীয়দের জন্য পাপ।

আইএচএস/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।