লঙ্কান ক্রিকেটারদের গান শোনায় নিষেধাজ্ঞা জারি

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:২৩ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭

চন্ডিকা হাথুরুসিংহে কাজের ব্যাপারে কতটা কঠোর- সেটা এবার টের পেতে শুরু করেছে লঙ্কান ক্রিকেটাররা। শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের দায়িত্ব নেয়ার পরপরই প্রথম ক্যাম্পেই চান্দিমাল-ম্যাথিউজদের গান শোনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে দিয়েছেন তিনি।

শ্রীলঙ্কা দলের দায়িত্ব নেয়ার পরই হাথুরুসিংহের সামনে প্রথম মিশন, বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য ত্রি-দেশীয় সিরিজ। এই সিরিজের জন্যই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে লঙ্কান ক্রিকেট দল। অনুশীলনের প্রথমদিনেই নাকি হাথুরু প্রচণ্ড চটে গিয়েছেন। কঠোর আইন জারি করতে যাচ্ছেন দলের ক্রিকেটারদের ওপর। তার উদ্দেশ্য শুধু ত্রিদেশীয় সিরিজ কিংবা বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ই নয়, আগামী বিশ্বকাপে ভালো খেলা।

সে লক্ষ্যে এখন থেকেই কঠোর হতে চান তিনি। শুধু তাই নয়, শ্রীলঙ্কা দল নির্বাচনের পূর্ণ এখতিয়ারও তার নিজের হাতে রাখতে চান হাথুরুসিংহে। আপাতত তার কঠোর আইনের প্রথম নীতি হলো, অনুশীলন ক্যাম্পে কোনো ক্রিকেটার গান শুনতে পারবে না। গান শুনতে হলে বাসায় চলে যেতে হবে। ক্যাম্পে থাকা যাবে না।

শ্রীলঙ্কা মানেই ওয়ানডে ক্রিকেটে অন্যতম শক্তিশালী একটি দল। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপজয়ীরা এখন যেন নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে। ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে দলটি এখন তাদের হাতে। শেষ হতে চলা এই বছরে মোট ৫৭টি ম্যাচ খেলে হেরেছে ৪০টিতেই। এতটা বাজে পারফরম্যান্স এর আগে আর কখনও করেনি লঙ্কানরা। সেই দলটিকেই গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জ নিয়ে বাংলাদেশের দায়িত্ব ছেড়ে গিয়েছেন হাথুরুসিংহে।

লঙ্কান ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়েই গত বেশ কিছুদিন ধরে নানা সমালোচনা চলছিল। এমনকি লঙ্কান ক্রীড়ামন্ত্রী দয়াসিরি জয়াসেকারা পর্যন্ত মন্তব্য করেছিলেন, লঙ্কান ক্রিকেটাররা মোটা বলে। ভারত সফরের আগে চান্দিমাল-ম্যাথিউজরা ফিটনেস পরীক্ষায় পর্যন্ত উত্তীর্ণ হতে পারেননি। সেই দলটির দায়িত্ব নিয়েই হাথুরু বললেন, ‘একাদশ নির্বাচনে আমি পূর্ণ স্বাধীনতা ও দায়িত্ব পেতে চাই। খেলার আইন অনুসারে কোচ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হতে পারেন না। কোচ থাকা অবস্থাতেই আমার নির্বাচক হওয়ার অনুরোধ তারা বিবেচনা করছে।’

আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।