প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ মিরাজের

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:২৯ এএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭

টেস্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাফল্য কোনটি? চোখ বন্ধ করে উত্তর দেয়ার আগে খানিক চিন্তা করবেন কেউ কেউ। অনেকেই বলবেন শ্রীলঙ্কার মাটিতে শততম টেস্টে জয়। অধিকাংশই বলবেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাওয়া অসাধারণ জয়টির কথা; কিন্তু এই দুটি জয়ের আত্মবিশ্বাস এবং ভিত তো গড়ে উঠেছিল ২০১৬’র শেষ দিকে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাওয়া অসাধারণ জয়টি। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে সেরা সাফল্যের মধ্যে এক কিংবা দুইয়ে থাকবে সেই জয়টি।

ঢাকায় ইংলিশ বধের প্রধান নায়কই ছিলেন তরুণ ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ। তার বোলিং নৈপূণ্যেই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। তারপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তরফ থেকে দরিদ্র অথচ মেধাবী এই ক্রিকেটারের জন্য বাড়ি উপহার দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

ঘোষণা অনুযায়ী গত ১৮ ডিসেম্বর খুলনার মুজগুন্নি আবাসিক এলাকার এন-৪৪ নম্বরের প্লটে ৩.৬ কাঠা জমির দলিল দেয়া হয়েছে মিরাজ এবং তার পরিবারের হাতে। এ প্লটের বাজারমূল্য প্রায় ৫৭ লাখ টাকা। মিরাজের পরিবারের কাছ থেকে এক হাজার এক টাকা প্রতীকী মূল্য নিয়ে জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়।

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এমন একটা বাসস্থান পাওয়া কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন জাতীয় দলের উদীয়মান ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথম সিরিজেই ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট। বাংলাদেশকে জিতিয়েছিলাম। আর সে উপলক্ষে আমাকে জমি দেয়া হয়েছে। এ কারণে প্রধানমন্ত্রীকে আমার এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ। কারণ তিনি কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। খুব ভাল লাগছে নিজের কাছেও। পরিবারের কাছেও অনেক ভালো লাগছে, এ রকম একটা বাসস্থান পাওয়া গেছে বলে।’

এর আগেখুলনা নগরীর খালিশপুরের হাউজিং স্টেটের বিআইডিসি রোডের নর্থ জোন বি ব্লকের ৭ নম্বর প্লটের ভাড়ার টিনের ছাউনি ঘেরা বাঁশের বেড়ার ঘরে বেড়ে ওঠেন ক্রিকেট বিশ্বের আলোচিত তারকা মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজের এ বাড়ি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল তখন। এরপরই প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বাড়ি করে দেয়ার ঘোষণা আসে।

এমএএন/আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।