চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিতে বাংলাদেশের খেলা নিয়ে প্রশ্ন!

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:১৬ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭

২০১৭ সালটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য দারুণ একটি বছর ছিল। তাদের সবচেয়ে বড় অর্জন ছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো টুর্নামেন্টে সেমিফাইনাল খেলা। কিন্তু সত্যিই কি যোগ্যতর দল হিসেবে সেমিতে উঠেছিল বাংলাদেশ? ডার্ক-ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতির দুই প্রবক্তা ফ্র্যাঙ্ক ডার্কওয়ার্থ আর টনি লুইস যেমনটা বলছেন, তাতে রাগ লাগতে পারে টাইগার সমর্থকদের।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির 'এ' গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গে ছিল স্বাগতিক ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে সেমির স্বপ্ন প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল টাইগারদের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে তো ১৮২ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। জবাব দিতে নেমে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ১৬ ওভারে ১ উইকেটে ৮৩ রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া।

বেশিরভাগেরই মতো, পুরো খেলা হলে ম্যাচটা অনায়াসেই জিতে যেত অস্ট্রেলিয়া। তবে বৃষ্টির ওপর তো কারও হাত নেই। ওয়ানডে ম্যাচে ফল বের করতে হলে দুই দলের কমপক্ষে ২০ ওভার করে ব্যাটিং করা প্রয়োজন। সেই হিসেবে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে বাংলাদেশ আর অস্ট্রেলিয়া। শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিতে উঠে যায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের এমন অর্জন নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলেছেন ডার্কওয়ার্থ লুইস পদ্ধতির দুই প্রবক্তা ফ্র্যাঙ্ক ডার্কওয়ার্থ আর টনি লুইস। তাদের মতে, ওই ম্যাচে অবশ্যই অস্ট্রেলিয়াকে জয়ী ঘোষণা করা উচিত ছিল।

কিন্তু কিভাবে? তাদের মতে, বৃষ্টির কারণে একটু পর পর রান আর উইকেট কমানো হচ্ছিল। যদিও কাট ওভারের সময় হিসেব করে ২০ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য করা হয়নি। যদি সেটা হতো ২০ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য দাঁড়ানোর কথা ছিল ৮০ রান। অস্ট্রেলিয়া সেই রানটা ১৬ ওভারেই পার করে ফেলেছিল। ৩০ ওভারের বেশি যদি এভাবে কমানো হয়, তবে আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, একটি পর্যায়ে একটি দলকে বিজয়ী ঘোষণা করে দিতে হবে।

সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের নয়, জয় নিয়ে সেমিতে খেলার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। এতদিন পর ডার্কওয়ার্থ-লুইস সাহেবরা তাদের জটিল অঙ্ক নিয়ে হাজির, যেটার মারপ্যাঁচ আসলে বোঝার ক্ষমতা নেই সাধারণ মানুষের।

এমএমআর/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।